কাজী নূরনবী নাইস,জেলা প্রতিনিধি,নওগাঁ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যায় শেখ হাসিনা। তারপর থেকে স্থবির হয়ে পড়ে সারা দেশ। সারা দেশ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য ও মালামাল পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে নওগাঁয় সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। নওগাঁয় সবজির দাম কিছুটা কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে চলেছে মরিচের দাম।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে নওগাঁ পাইকারি সবজি কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সকালে নওগাঁর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা পর্যন্ত।
গত এক মাস ধরে চালের দাম বাড়তি একই অবস্থায় রয়েছে। বাজারে পাইজাম ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫ এবং মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়, পণ্য সরবরাহ এখনো আগের মতো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এজন্য চাল-ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম এখনো আগের জায়গায় রয়েছে। পাশাপাশি সবজির দামও খুব বেশি কমেনি। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব পণ্যের দাম আরও কমতে পারে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীরা।
সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি কেজি পটল, পেঁপে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়।
তবে,এখন কিছু কিছু পণ্যের দাম হাতের নাগালে এসেছে। তবে অনেক পণ্যের দাম এখনো অনেক বাড়তি।
মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।খুচরা বাজারে ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। আন্দোলনের মধ্যে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। তবে আজকের বাজারে প্রতি ডজন ডিম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা দরে।