হিলিতে বেকারি পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায়   বিপাকে ক্রেতারা

হিলি দিনাজপুর প্রতিনিধি:  হাকিমপুর উপজেলার  পৌরসভা ও বিভিন্ন  ইউনিয়নে বেকারি ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, কেক, পাউরুটি, বাটারবন, ড্যানিশ ও প্যাটিস  সহ বিভিন্ন বেকারি পন্য কিনে খান কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল শিক্ষার্থীরা। বেকারি পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

পৌরসভার  দোকানদার মোহাম্মদ রুবেল জানান, ‘রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা চালক, খেটে-খাওয়া মানুষ তাদের মূল কাস্টমার। দাম বাড়ার কারণে তারা এখন চাহিদা থাকলেও কম খাচ্ছে। তাছাড়া আগে বেকারি পণ্য বিক্রি করে সরবরাহকারীকে টাকা দিতাম। এখন সেই টাকা  নগদ দিতে হচ্ছে। আগে যে কেক ৭ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটা ১৫ টাকা। আগে যে বিস্কুট ৩ টাকা ছিল, এখন সেটা এখন ৫ টাকা। প্রতিটি পণ্যের দামই দ্বিগুণ বেড়েছে। আগে ১০ পিসের প্যাকেট কিনতাম ৫০ টাকা, এখন সেটা ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

বেকারি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেকারি পণ্যের অন্যতম উপকরণের মধ্যে রয়েছে ডিম, আটা, ময়দা, চিনি, তেল, ঘি। সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ গ্যাসসহ অন্যান্য খরচ। বেড়েছে বেকারি শ্রমিকদের মজুরি। সব মিলিয়ে বেকারি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
বাংলা হিলি বাজারের দুলাল ভ্যারাইটি ষ্টোরের গেলে তিনি জানান মানুষের আয় ইনকাম কমে গেছে তারা আগের মতো কিনছেনা। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। আগে যে  বিস্কুটটের প্যাকেটে৪৫০ গ্রাম ছিল এখন সেই প্যাকেটে ৩০০থেকে ৩৫০ গ্রাম বিস্কুট থাকে।
কয়েকটি বেকারি পণ্যের মূল্য যাচাই করে দেখা গেছে, মানভেদে ৫ থেকে ৭ টাকার এক পিস বনরুটি বর্তমান বাজারে ১০ থেকে ২০ টাকা, ২ থেকে ৩ টাকার বিস্কুটের পিস এখন ৫ থেকে ৮ টাকা, ১০ টাকার বাটারবনের পিস আকারভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে এক পিস কেক ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলা হিলির মানিক বেকারির  মালিক মানিক  হোসেন বলেন, উপকরণের দাম যেভাবে বাড়ছে যে কোনো সময় বেকারির ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। বাধ্য হয়ে পণ্যের দাম বাড়াতে হচ্ছে। এতে বাজারে প্রভাব পড়েছে, বেচাকেনা আগের চেয়ে কমে গেছে।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button