
মো. ইউছুপ মজুমদার এম এ, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করা বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রবিবার (তারিখ উল্লেখ করতে পারেন) বিকাল ৩টার দিকে লামা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ছাগলখাইয়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে প্রায় ৪০ হাজার ঘনফুট অবৈধ বালু জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি ছড়া, খাল ও মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে লামা থানা পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত বালু পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় ছাগলখাইয়া মৌজার হেডম্যান মংক্যচিং মার্মার জিম্মায় রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই বালুখেকো চক্রটির বিরুদ্ধে প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করলেও তারা থেমে নেই। সুযোগ পেলেই তারা পুনরায় পরিবেশ ধ্বংস করে বালু উত্তোলন শুরু করে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন বলেন, “মাতামুহুরী নদী থেকে अवैधভাবে বালু তুলে পাচারের উদ্দেশ্যে স্তূপ করে রাখা একটি বালুর মহাল জব্দ করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার (১১ জুলাই) গভীর রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি ও মালুম্মা এলাকায় অভিযান চালায়। সে সময় বালু উত্তোলনেরত অবস্থায় আব্দু শুক্কুর ও আলতাজ মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় আব্দু শুক্কুরকে ২ মাস এবং আলতাজ মিয়াকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।