রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর থেকে আজাদুল ইসলাম (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর নির্যাতন করে মুক্তিপন দাবির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গ্রেফতার দুইজনকে আদালতে পাঠিয়েছে রাণীনগর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার গুলিয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে রিপন হোসেন (২৮) ও মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল করিম (৩২)।
এর আগে রবিবার রাতে রাণীনগর উপজেলার উপর তালিমপুর গ্রাম থেকে ওই গ্রামের আজাদুল ইসলামকে ইসলামী জলসায় ডেকে নিয়ে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে মুখে কসটেপ ও চাকুর মুখে জিম্মি করে ওই দুই যুবক তাকে অপহরণ করে নন্দীগ্রামের গুলিয়া কৃষ্ণপুর গ্রামে নিয়ে যান। এরপর রিপনের বাড়িতে আটকে রেখে আজাদুলকে নির্যাতনের পর মুক্তিপন দাবি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আজাদুল ইসলাম একজন প্রবাসী ছিলেন। গত তিন বছর আগে তিনি বাড়িতে চলে আছেন। রবিবার রাতে আজাদুলের গ্রাম উপর তালিমপুরে ইসলামী জলসা হচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে পাশ^বর্তী গ্রাম গুলিয়া কৃষ্ণপুরের রিপন ও করিম তাকে মোবাইলে ফোন করে ইসলামী জলসায় ডেকে নেয়। এরপর রাত ১০টার দিকে ইসলামী জলসা থেকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে আজাদুলকে তারা দু’জন মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয়। পথে মোটরসাইকেলেই আজাদুলের মুখে কসটেপ ও চাকুর মুখে জিম্মি করে তাকে অপরহরণ করে রিপনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ওই বাড়িতে আজাদুলকে আটকে রেখে তারা দুইজন রাতে নির্যাতন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ওইদিন রাতেই স্থানীয় লোকজন ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের সহযোগীতায় আজাদুলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী রিপন ও করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপহরণের শিকার আজাদুল ইসলাম বলেন, জলসা থেকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা দুইজন আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। এরপর রিপনের বাড়িতে আমাকে আটকে রেখে রাতে তারা দুইজন ব্যাপক নির্যাতন করে মুক্তিপন দাবি করেন। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় আমি উদ্ধার হয়ে রাণীনগর থানায় মামলা করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
রাণীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে আজাদুল থানায় মামলা করেছেন। গ্রেফতার দুইজনকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।