অনলাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গুলিতে অনেকেই নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেসব নিহতদের হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ জড়িত ব্যক্তিদের। সেই তালিকায় রয়েছেন দেশসেরা ক্রিকেটার এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নামও। তাই হুমকির মুখে পড়েছে সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
জাতীয় দল থেকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে নোটিশে।
তবে বিসিবি জানিয়েছে অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত দলেই থাকবেন সাকিব। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও খেলবেন তিনি। এ ছাড়া ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট লিগে খেলার ছাড়পত্রও পয়েছেন তিনি। তাই পাকিস্তান থেকে তিনি সরাসরি উড়াল দিবেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকেই বাংলাদেশের পরিবর্তী সিরিজ খেলতে ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার।
এমন অবস্থা অনেকের প্রশ্ন জেগেছে দেশে আসলেই সাকিবকে গ্রপ্তার করা হবে কিনা। এবার সাকিবের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড.আসিফ নজরুল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আমি আশা করি সাকিব গ্রেপ্তার হবেন না। সাকিব তো আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু বয়ে আনেনি। সাকিব নিজেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার, আমরা যেটুকু বলার বলেছি। মামলা বা এফআইআর হওয়া মানেই কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়া না। আমার বিশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রলায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে না যায়।
এদিকে বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে সাকিবের আয়কর হিসাব, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও মামলার জন্য দুদকে আবেদন করেন ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী।
আবেদনে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের ৬ প্রতিষ্ঠানে শেয়ার কারসাজিতে সাকিব আল হাসানের নাম জড়িত রয়েছে। যেখান থেকে ১০৪ কোটি টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে আদাবর থানায় সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা করা হয়।