আব্দুল্লাহ আল মামুন: মাদারীপুর জেলা শহরের পুরানকোট ও পুরান বাজার এলাকায় বিভিন্ন খাবারের হোটেলে ও মিষ্টির দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার সংরক্ষণ, বিক্রি, খাবারে পোকামাকড়, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশসহ নান অনিয়ম পাওয়ায় এসব দোকান মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ অভিযান পরিচালনা করেন নিরাপদ খাদ্য আদালতের বিচারক বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী।
অভিযানে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী প্রায় ১৮টি প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এরমধ্যে লালুনা রেস্টুরেন্ট,মন্টু মিষ্টান্ন ভান্ডার,আদি সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী,ফ্রেস খাবার ঘর,আর এফ সি,কে এফ সি,ফুড বাজ,রুচিতা খাবার ঘর,হাজী নান্না বিরিয়ানী হাউজ,নবাব বিরিয়ানী হাউজ,শাহমাদার সুইটস এন্ড রেস্তোরা,আজমী সুইটস এন্ড রেস্তোরা,মাতৃভান্ডার,ফকির চাঁদ ঘৃত ভান্ডার,হোটেল তাজমহল,ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ, কুটুমবাড়ি রেস্তোরা ও মায়ের দোয়া বিরানী হাউজ। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার জন্য নিরাপদ খাদ্য জেলা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এছাড়াও মামলার ৭ দিনের মধ্যে যদি প্রতিষ্টানের পরিবেশ ফিরিয়ে না আনা হয় তাহলে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযান চলাকালে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে মালিককে উপস্থিত পাওয়া যায়নি এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মচারী দ্বারা দোকান পরিচালিত হতে দেখা যায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার সংরক্ষণ, বিক্রি, খাবারে পোকামাকড়, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, ও স্বাস্থ্য, জীবনহানি ঘটানোর অপরাধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো:শহিদুল ইসলাম, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার রফিকুল ইসলাম,নিরাপদ খাদ্য আদালতের বেঞ্চ সহকারি বেল্লাল হোসেন,চীফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের ক্যশিয়ার মো: আবুল হাসান ও সহকারী সৈয়দ আজগর প্রমূখ।