অতিরিক্তদের দিয়ে চলছে থানচি খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়

 বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের থানচি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সমস্ত পদ ই শূন্য। অতিরিক্ত দায়িত্বে ২ জন কর্মকর্তা নিয়ে দায়সারা ভাবে চলছে সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। 

স্হানীয় সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবৎ এই উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।তবে মাষ্টার রুলে ২ জন কর্মচারী অফিসের অধীনস্হ খাদ্য গুদামের দেখাশোনা করে আসছেন। সরকারি ভাবে কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী না থাকায় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় পরিচালিত হচ্ছে  নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশিমতো। অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত দের মধ্যে একজন পাশ্ববর্তী আলীকদম উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খোরশেদুল আলম  ও অপর জন লামা উপজেলার  খাদ্য পরিদর্শক তিমির কুমার দে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,  থানচি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (অঃদা) খোরশেদুল আলম ও খাদ্য পরিদর্শক (অঃদা) তিমির কুমার দে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে থানছি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় একবারের জন্য উপস্থিত ছিলেন না।

এছাড়াও সরজমিনে বেশ কয়েকবার  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অফিসে তালা ঝুলছে। তবে থানচি উপজেলায় মন্ত্রী,এমপি কিংবা উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসলে তখন অফিসের তালা খুলে দেন মাষ্টার রুলে চাকরিরত জিতেন্দ্র মল্লিক, অফিসে বসেন মাষ্টার রুলের আরেক চাকরি জীবী নতুন কুমার চাকমা।

এই  বিষয়ে জানতে মোঃ খোরশেদুল আলম এর সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার মূল কর্মস্থল আলীকদম, তাই এখানে একটু বেশি সময় দিতে হয়।থানচি তে যায় না বিষয় টি সঠিক নয়,তবে খুব বেশি সময় দেওয়া হয় না।সবশেষে কবে থানচি তে এসেছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চলতি বছরের প্রথম দিকে থানচি গিয়েছি। এই বিষয়ে জানতে খাদ্য পরিদর্শক তিমির কুমার দে এর সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তো প্রায় সময় ই থানচি তে যায়।

এই বিষয়ে থানচি  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন,আমি থানচি যোগদান করেছি দুই তিন মাসের মতো হবে।এর মধ্যে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ এর মাসিক সমন্বয় সভায় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের দায়িত্বশীল কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখেনি।তিনি আরো বলেন আমি খাদ্য নিয়ন্ত্রক কে কল দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম তিনি সবশেষ কবে উপজেলা  মাসিক সমন্বয় সভায় যোগদান করেছিলেন প্রত্তুরে তিনি জানান দেড় বছর এর মধ্যে তিনি কোনো মিটিং ই উপস্থিত ছিলেন না।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button