
রাবি প্রতিনিধি” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তার সর্বােচ্চ শাস্তি, স্থায়ী বহিষ্কার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সেই বিভাগের শিক্ষার্থীরা৷
সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা, শারীরিক ও মানসিক সুরক্ষা, নির্যাতনকারী শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচার করাসহ ১১ দফা দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা নাওয়াল নেহা বলেন, এক নারী শিক্ষার্থী যদি বিভাগের শিক্ষকের কাছে নিরাপদ না থাকে তাহলে কোথায় থাকবে? আমরা যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের বহিষ্কার চাই যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস রাইটস আ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, আমি সেই একাডেমিক কাউন্সিলকে ঘৃণা করি যারা একজন নিপীড়ক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনাে ব্যবস্থা নিতে পারে না৷ সেই সিন্ডিকেটকে প্রত্যাখ্যান করছি যারা যৌন নিপীড়ককে ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে পারে না৷জ আমরা চাই আইনগতভাবে সুষ্ঠু বিচার হােক৷ না হলে আমরা আইন ভাঙ্গতে বাধ্য হবো৷ আমরা যখন রাজপথে নেমেছি তখন কোনাে সুষ্ঠু বিচার ছাড়া প্রহসনমূলক বিচার দেখে ঘরে ফিরে যাবাে না।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট অধ্যাপক প্রভাস কুমার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তার চেম্বারে ডেকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মূলত, ক্লাস অ্যাটেনডেন্সের পারসেন্টেজ জানতে ওই শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের চেম্বারে যান। তখন শিক্ষক তাকে অন্য একদিন ফোন দিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তীতে সে শিক্ষকের কক্ষে গেলে শিক্ষক তাকে সাজেশনের কথা বলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেন এবং ছবি তুলতে নিষেধ করেন। শুধু খাতায় লিখতে বলেন। এই সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর শরীরের একাধিক স্থানে অশোভন স্পর্শ করেন এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন। এই ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে পড়ে যান। পরে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে গত ১৩ আগস্ট বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠিত হয়। তাদের তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিকতর তদন্ত করছে।




