রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেনের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য গতকাল সোমবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার পর আবার লাশ দাফন করা হয়।
রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এ টি এম আরিফ হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মাদ তালেব উদ্দিনের নেতৃত্বে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।এ বিষয়ে এ টি এম আরিফ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে সাজ্জাদ হোসেনের মরদেহ কবর থেকে তোলার পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করে আবার দাফন করা হয়েছে।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরের সিটি বাজারের সামনে গুলিতে নিহত হন সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় গত ২০ আগস্ট সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানাকে তদন্ত কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন।মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়কে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।আরজিতে বলা হয়েছে, নিহত সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্যবসায়ী। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরের সিটি বাজারে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তাঁর লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের বাধার মুখে পড়েন বাদী। পরে বাধ্য হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ দাফন করা হয়।