জামাল উদ্দীন, সাতক্ষীরা থেকে :: সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈষম্যের প্রতিবাদে শুরু হওয়া কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মত পালন করা হয়েছে হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর পাটকেলঘাটায় সোমবার (৬-মে) সকাল সাড়ে ৯টায় জোনাল ও সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কর্ম বিরতিতে অংশ গ্রহন করে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সোমবার (৬ মে) সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা কর্মচারী বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে এ কর্মবিরতি পালন করে চলেছে।যা আগামী দিনে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্ব নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ,বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা পবিসের দুইজন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দুইজন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলি এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে এক জন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এছাড়া সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
4