বড়লেখায় ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে পুলিশের বাঁধা

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকার্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এ ঘটনায় বড়খেলা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড়লেখায় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে রোবববার বিকাল ৩টার দিকে বড়লেখা পিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একাংশের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। এসময় বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতারা জানান, বেলা ২.৩০ ঘটিকার দিকে বড়লেখা পিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়কের সম্মুখে এলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি ধস্তাধস্তি-বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এসময় পুলিশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীদের ভ্যানে তুলতে টানাহেচড়া করে। এতে রোম্মান আহমদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। পরবর্তীতে পি.সি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগের বড়লেখা উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখার কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। কমিটির কয়েকজন নেতা বিবাহিত এবং ৩টি ইউনিট ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চললে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সম্প্রতি অছাত্র ও বিবাহিতদের সাথে নিয়ে একটি কুচক্রীমহল বড়লেখায় মিছিল করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে কটুক্তি করছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদ রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমান, আছকির আলী, সাবেক উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক সামছুল ইসলাম টুকু, বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান পারভেজ সহ বড়লেখা উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ লাঠি চার্জ করেনি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মূল সড়কে মিছিল না করা জন্য বাঁধা দেয়।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button