বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাহারুল্লাহপাড়া এলাকায় অবস্থিত এবং বাঁশখালীর প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্টস নামক বেকারীর ভিতর কর্মচারী শাহ আলমকে গত শুক্রবার ভোর সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । গুরুতর আহত শাহ আলম (৩৫) কে স্থানীয় লোকজন ও বেকারীর কর্মচারীগন বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তারগন তাকে মৃত ঘোষনা করে । এ ঘটনার সংবাদে বাঁশখালী থানার এসআই মং থোয়াই হ্লা চাককে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হতে লাশের সুরতহাল করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হাওলাদার, সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ কায়কোবাদ, এসআই আহসান হাবীবসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থলের নানা ধরনের আলামত সংগ্রহ, স্থানীয় ও বেকারীর কর্মচারীদের কে জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল হইতে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, জব্দ করা হয় এবং বেকারীতে কর্মরত কর্মচারীদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আচরণ পর্যালোচনা করা হয় বলে থানা সুত্রে জানা যায়। থানা পুলিশ জানান,এসব পর্যালোচনায় দেখা যায় মাহাবুবুর রহমান (৩০) উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আছে এমন প্রমানের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতা নেওয়া হয় । এ সময় দেখা প্রথমে মাহাবুবুর রহমান পলাতক অবস্থায় কক্সবাজার জেলা পেকুয়া থানাধীন মগনামা বাজারে আছে এ প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা কালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাহাবুবুর আলম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পূনরায় প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নির্ণয় করে বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড হইতে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় শনিবার (২৪ ফেব্রয়ারি ) বিকালে পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুবুর স্বীকার করে যে, সে দীর্ঘদিন যাবত মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্টস নামক বেকারীতে চাকুরী করছে। বেকারীতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে একের অধিক মহিলা শ্রমিক কর্মরত আছে। তাদের মধ্যে একজন মহিলা শ্রমিক (তদন্তের স্বার্থে নাম বলা যাচ্ছে না) এর সাথে শাহ আলমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক মাহাবুবুর রহমান বারংবার বাঁধা দেওয়ায় গত ২২ফেব্রয়ারি দুপুরে শাহ আলম ও মাহাবুবুর রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। উক্ত ঘটনার কারনে ক্ষোভের বর্শবর্তী হইয়া পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২৩ ফেব্রয়ারি ফজরের নামাজের সময় বেকারীতে মাহাবুবুর রহমান প্রবেশ করে শাহ আলমকে ঘুমন্ত অবস্থায় গাছের গুড়ি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত হলে সে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
2