দুদকের মামলায় আসামিরা হলেন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান (৪৪) ও তার স্থানীয় সহযোগী রুবেল হাওলাদার (৩৮)। মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমণি (নুরাইনপুর) গ্রামে। আর রুবেল হাওলাদারের বাড়ি মাদারীপুর শহরের কুকরাইল-গোলাবাড়ি এলাকায়।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘অভিযুক্ত দুজনই সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। সরকারি কর্মচারী সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন রুবেল হাওলাদার। রুবেলের মাধ্যমেই তিনি টাকা লেনদেন করেছেন বলে তথ্য–প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি টাকা আত্মসাৎ চক্রের সঙ্গে আরও যেসব সরকারি-বেসরকারি লোকজন জড়িত, তাদের ধরতেও আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। আমরা আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রের সঙ্গে এসব বিষয়ও উল্লেখ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমার এখানে কোনো ভুল নেই। সরকারি কোনো টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররা অনিয়ম করে আমাদের দিকে দায় চাপিয়ে এখন মামলা করে আমাদের সর্বস্বান্ত করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিক রহমান বলেন, ‘মামলার আসামি দুজনকে আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিস জারি করা হয়েছে। আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের পক্ষে অর্জিত সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আরও ২টি মামলা দায়ের করা হবে।