
জহিরুল ইসলাম পটুয়াখালী : জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে পটুয়াখালীতে। আগামী ৫ আগস্টের আগেই স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ শেষ করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রকৌশল বিভাগ। এমনটি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে শহরের ঝাউতলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের দক্ষিণ পাশে এ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “সুশাসন ও গণতন্ত্রের জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করতেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ। এটি শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, এটি একটি ইতিহাসের দলিল। আমরা চাই, সবাই এখানে এসে জানুক, কী ঘটেছিল সেই জুলাইয়ে, কারা জীবন দিয়েছেন
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক জুয়েল রানা, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মীর হোসেন আলী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার উদ্দিন, জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সাথীর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা বেগম সীমাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে পরিকল্পনা ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এলজিইডি ও গণপূর্ত বিভাগ। অল্পদিনেই নির্মাণকাজ শেষ করে আগামী ০৫ আগস্টের আগে স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধনের লক্ষ্য স্থির করে কাজ চলছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সারাদেশে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান, নিহতদের স্মরণ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অনুষ্ঠিত আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী ছিল ওই সময়কার গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনকেন্দ্র, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দুর্নীতি, দমন-পীড়ন এবং গায়ের জোরের রাজনীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন।