নুরুজ্জামান হোসেন,হিলি দিনাজপুর : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্য আমদানি কমলে ও গত অর্থ বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৪৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
স্থল বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান,দেশে ডলার সংকটের কারণে একদিকে আমদানি কমেছে; অপরদিকে পেঁয়াজ ও জিরা আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি ও অধিক শুল্কায়নের পণ্য সামগ্রী আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৩১ কোটি ৮০ লাখ, আগস্টে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ, অক্টোবরে ৩৬ কোটি ৭২ লাখ, নভেম্বরে ৫২ কোটি ৯৭ লাখ এবং ডিসেম্বর মাসে ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে ৬ লাখ ৭০ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৭ লাখ ৩ হাজার টন পণ্য আমদানির বিপরীতে ২১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। অর্থৎ গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ৩৩ হাজার টন পণ্য আমদানি কম হলেও ৪৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘এলসি জটিলতার কারণে চাহিদামতো পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে আগে যেখানে প্রতি কেজি জিরা আমদানিতে ৯৬ টাকা শুল্ক দিতে হতো, এখন ২৩০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সেই সঙ্গে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৩২০ থেকে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ৪ টাকার পরিবর্তে ৯ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে।’
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘কেউ যেন উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি করে কম শুল্কে খালাস করতে না পারে, সে জন্য সঠিকভাবে পরীক্ষণ ও শুল্কায়ন করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য বন্দর কেন্দ্রিক যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে।