হঠাৎ করে ডাকাত আতঙ্ক

সংগ্রাম দত্ত: সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে রাত গভীর হলেই বাড়ে চোর-ডাকাতের আতঙ্ক। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে চোর-ডাকাতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রাস্তায় নেমে পাহারা দেয় এলাকাবাসী।
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে প্রায় সব থানাই কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। পুলিশের অভাবে এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায়ই বেড়েছে চুরি-ডাকাতি ও লুটতরাজ। কার্যত দেশে ল অ্যান্ড অর্ডার ভেঙে পড়েছে। এই সময়ে রাত গভীর হলেই বাড়ে চোর-ডাকাতের আতঙ্ক।

গত ৮ আগস্ট রাত ২ টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরের কাজির দেউড়ি ও নন্দনকানন এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পাঁচজনকে আটক করেছে জনতা। পরে গণপিটুনি দিয়ে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৯ আগস্ট শুক্রবার দৈনিক পূর্বকোণ এর সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে মসজিদের মাইকে সতর্ক করা হয়। পরে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন এবং তাদের ধাওয়া করে।

স্থানীয়দের মতে- যারা ডাকাতি করতে এসেছিল বেশিরভাগ টোকাই এবং উঠতি তরুণ। তাদের অস্ত্র এবং টাকা সরবরাহ করে এসব প্ল্যান করে করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, তারা নিজ উদ্যোগে এই কাজটি করছেন। থানায় পুলিশ না থাকায় তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না বলে পত্রিকাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

গত ৩ দিন মঙ্গল ও বুধবার (৬-৮ আগস্ট) রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়াগায় রাত ১টার পর থেকে ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। রাজধানীর বসিলা, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, আদাবর, নবোদয় হাউজিং, বছিলা, ইসিবি চত্বর, মিরপুর-৬, মিরপুর-২, ধানমন্ডি ও রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। এছাড়া যেসব এলাকায় ডাকাতি হয়নি সেখানেও ছিল আতঙ্ক।

রাত হলে সবার মুখে ডাকাত প্রবেশ করেছে বা ডাকাতি হচ্ছে বা লুটপাট হচ্ছে এমন ধরনের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। ফলে মানুষের মাঝে ভয় কাজ করে। অনেক সময় শোনা যায় রাতে মসজিদের মাইকে মাইকে ঘোষণা করে যে এলাকায় ডাকাত ডুকেছে। সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় সবাই রাস্তায় লাঠি, দা নিয়ে নেমে পড়ে। অনেক এলাকায় রাত পোহানোর আগ পর্যন্ত এলাকার সবাই মিলে পাহারা দেন।

অনলাইনের বিভিন্ন গ্রুপে সারারাত চলে ডাকাত আসছে বা গোলাগুলি নিয়ে পোস্ট। এতে করে সব জায়গায় ই মানুষ আতঙ্কিত ।

সাধারণ মানুষ চায় দ্রুত পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করে মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাসহ এইসব অপরাধী চক্রের মূল ভূতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button