শ্রীমঙ্গলে ভূনবীর গ্রামে প্রাচীন বাসুদেব মন্দির

 

সংগ্রাম দত্ত:মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভূনবীর গ্রাম স্থাপনের ইতিহাসে জানা যায় যে শ্রীবৎস দত্তের পুত্র হরিদাস দত্ত ভুনবীর গ্রাম স্থাপন করেন। তাঁর বসতবাড়ি সংলগ্ন প্রায় ৯০০ বছর পুর্বে ১১১৯ সালে এক‌টি বাসুদেব মন্দির স্থাপন করেন। বৌদ্ধ স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এ মন্দিরটি এখনো দাড়িয়ে আছে। কিন্তু বাসুদেব মূর্তিটি চুরি হয়ে গেছে। ভূনবীর জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন হরিদাস দত্তের পরবর্তী উত্তরাধিকার কালী কুমার দত্ত চৌধুরী। জমিদারীর আর কিছুই নাই শুধু বাড়িতে স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে পুরোনো প্রাচীন বাসুদেব মন্দির এখনো তাঁর স্বমহীমায় দাড়িয়ে আছে। জমিদার বাড়ির শেষ বংশধর ভুবন দত্ত চৌধুরী ও প্রমোদ দত্ত চৌধুরী (রবি) বাড়ি ছেড়ে ভারতের আসাম প্রদেশের শিলচর গিয়ে মারা যান। ওই বাড়ির তাদেরই কাজিন তিন ভ্রাতা ও ভাতিজা – ভাতিজীগণ যথাক্রমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর শহরে বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী টুটু ও তাঁর সন্তান-সন্ততিগণ, স্বর্গীয় স্বপন দত্ত চৌধুরীর সন্তান-সন্ততিগণ যথাক্রমে দীপ দত্ত চৌধুরী ও ববিদত্ত চৌধুরী বসবাস করছেন। আরেক এক কাজিন বীরেন্দ্র কিশোর দত্ত চৌধুরী যিনি ভারতের আসাম প্রদেশের করিমগঞ্জ জেলার সুপ্রাকান্দি গ্রামে পরলোক গমন হয়েছেন তাঁর সন্তান-সন্ততিগণ যথাক্রমে স্বর্গীয় বিধান দত্ত চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী, পিংকু দত্ত চৌধুরী ও দুই কন্যা । বর্তমানে স্বর্গীয় বিরেন্দ্র কিশোর দত্ত চৌধুরী সন্তান-সন্ততিগণ আসাম প্রদেশের রাজধানী গৌহাটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। ঐ বাড়িরই এক কাজিন বোন ইন্দিরা দত্ত চৌধুরী শিপ্রা শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকায় ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মারা যান। কিন্তু ঐ দত্ত চৌধুরী পরিবারের বিনোদবিহারী দত্ত চৌধুরীর ভ্রাতা গণ বা মৃত্যুঞ্জয় দত্ত চৌধুরীর সন্তান-সন্ততিগণ কে কোথায় কিভাবে অবস্থান করছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে ঐ বাড়িতে বসবাস করছেন জনৈক সুনিল দেবের পরিবার । উল্লেখ্য, এই বাসুদেব মন্দিরে প্রতি বছর বাৎসরিক পুজা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জমিদার কালী কুমার দত্ত চৌধুরী তাঁর বাড়িতে প্রথম ১৮৯৬ সালে এলাকা বাসীর ইংরেজী শিক্ষার জন্য ভুনবীর এমই স্কুল চালু করেন। যা’ ১৯১৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। পরবর্তীতে সেটা দশরথ উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে পুননির্মিত হয়

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button