শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের পিস্তলের গুলিতে ছাএ আহত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে মো. আরাফাত আমিন তমাল নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের সকল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। পরিতিস্থি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃক্ষা বাহিনী কাজ করছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪ টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাশ চলাকালিন সময়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, ডা.রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার স্বত্তেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।
আজ বিকেলে ক্লাশ চলাকালিন সময়ে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩ টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক ৮ম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। তার চিৎকারের সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী আন্দোলন করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেস্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,আজ ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পেয়ে গুলি করেন। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নেয়া হয়েছেন।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button