মহসিন উদ্দিন,শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে ইমরান ফকির (২০), রায়হান ফকির (১৮), মোঃ শাহিন মুন্সি (২০), জাকির ফকির (৫৫)সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে তিন নারীকে অপহরনের অভিযোগে গত (১৯ এপ্রিল) পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত ইমরান ফকির (২০), রায়হান ফকির (১৮),উভয় পিতা- জাকির ফকির, মোঃ শাহিন মুন্সি (২০), পিতা-সেলিম, জাকির ফকির (৫৫), পিতা-মৃত মনাই ফকির এরা উভই-দক্ষিন শৌলা গ্রামের পালং থানার শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মোঃ শাহিদ এর স্ত্রী মনিমালা, তার শ্যালক ও শালিকার পরিবারসহ খালাশাশুরীর বাডি (জনৈক মানিক খান (২৫), পিতা-মৃত ছোবাহান খান সাং-চিকন্দি, থানাঃ পালং, জেলাঃ শরীয়তপুর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেড়াইতে আসে সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে। তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার, নুসরাত জাহান ও মিম আক্তার গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় পালং মডেল থানাধীন চিকন্দি সাকিনস্থ খালা শাশুরীর বসত বাড়ি হইতে বাহির হইয়া মানিক খানের দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া ছোবাহন খানের বাডীর সামনে পাকা রাস্তার তিন রাস্তার মোডে পৌঁছামাত্র ওৎ পেতে থাকা বিবাদীগণ মেয়েদেরকে রাস্তার উপর পাইয়া ৩ ও ৪নং বিবাদীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায ১ ও ২নং বিবাদী এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সহ বিবাদীদের সহযোগীতায তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোগাড়ীতে তুলিয়া অপহরন করিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়। নির্দিষ্ট সময়ে পেরিয়ে গেলে মেয়েরা বাডিতে না আসলে খোঁজাখুজি করিযয়া না পাইয়া আশ-পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানতে পারি বিবাদীগণ অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া চলিয়া গেছে ।
মামলার বাদী মোহাম্মদ শাহিদ বলেন, আমি এর সঠিক বিচার চাই।
পালং মডেল থানার অফিসার-ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন,ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী এক জনকে গ্রেফতার করেছি, বাকি আসামীরা পলাতক আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করি অতি দ্রুত বাকি আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।