লামায় গর্ভবতী নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে 

বান্দরবান প্রতিনিধি:  মুরগি মারার বিষয়কে কেন্দ্র করে গর্ভবতী তরুণীর তলপেটে লাতি মারার অভিযোগ উঠেছে পাশ্ববর্তী যুবকের বিরুদ্ধে।
(১৩ মার্চ) বুধবার বিকেলে আনুমানিক ৫ঘটিকার সময় লামা উপজেলার ০৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড কুমারী নিজ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী রাহেলা বেগম বলেন, আমার বাড়ির পাশেই মোঃ বাপ্পির মুদির দোকান রয়েছে। সে দোকানে ইঁদুর মারার (কল) বসিয়ে আমার একটা মুরগি মেরে ফেলেছে। এ বিষয়ে আমি তার সাথে কথা বলতে গেলে বাপ্পির বোনের জামাই মোঃ কাদের আমাকে গালাগালি করে। এবং আমি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথে বাপ্পির চাচা কলিমউল্লাহ এসেও আমাকে গালাগালি করে, এক পর্যায়ে কলিমউল্লাহ এসে আমাকে মারতে চাই।
সেটি দেখে আমার মেয়ে মাইমুন ফারজানা জেরিন(১৮) এসে প্রতিবাদ করলে আমার মেয়েকে থাপ্পড় দিয়ে মাটিতে ফেলে আমার মেয়ের তলপেটে লাতি মারে। এবং আমার মেয়ের হাতের একটা আঙ্গুল ভেঙ্গে দিছে। আমার মেয়ে বর্তমানে ০৩ মাসের গর্ভবতী।
তৎক্ষনাৎ আমার মেয়েকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে আমার মেয়ের অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আমরা রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে।
এবিষয়ে দোকানে থাকা মোঃ কাদের(বাপ্পির বোনের জামাই) কথা বললে সে জানাই, আমরা প্রত্যেকদিন ইঁদুর মারার জন্য দোকানে একটি ইঁদুর মারার যন্ত্র বসিয়ে রাখি,ঠিক তেমনি আজকে ইঁদুর মারার যন্ত্রে শুটকি মাছ দিয়ে রেখেছিলাম। দুপুরের দিকে একটা মুরগী এসে সে যন্ত্রে আটকে যায়। এ নিয়ে রাহেলা বেগম আমার সাথে কথা বলে, আমাদের মাঝে তর্ক হয়।
কলিমউল্লাহ বলেন, মুরগির বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের মাঝে তর্ক হয়েছিলো। জেরিনকে লাতি মারছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং অস্বীকার করে।
সরেজমিনে গেলে, সাইফুল ইসলাম এর স্ত্রী  জোসনা(৩৫) বলেন, আমি ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম।  মুরগির বিষয়কে কেন্দ্র করে গর্ভবতী জেরিন এর তলপেটে লাতি মারে কলিমউল্লাহ।  আমি নিজের চোখে দেখেছি। এর আগেও ওরা অনেক মুরগী এইভাবে মেরে ফেলেছে। দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাহেলা(৬০) বলেন, বাপ্পির দোকানে মুরগী মারার যন্ত্র বসিয়ে জেরিনদের একটা মুরগী মেরে ফেলেছে।  এইটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে কলিমউল্লাহ এসে জেরিনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই,এবং পেটে লাতি মারে। জেরিন এখন চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি।
বাপ্পির সাথে কথা বললে তিনি জানাই, ইঁদুর মারার যন্ত্রে মুরগী আটকে গেছিলো শুনেছি,তখন আমি ছিলাম না,আমি দোকানে এসে দেখি রাহেলা বেগম আমার দুলা ভাই কাদের এর সাথে তর্ক করতেছে। একপর্যায়ে যাওয়ার পথে আমার চাচা কলিমউল্লাহর সাথে তর্ক হয়, জেরিনকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেছি।
এবিষয়ে জেরিন এর বাবা মোঃ জামাল বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমি এসে শুনতে পাই আমাদের একটা মুরগী বাপ্পির দোকানে ইঁদুর মারার যন্ত্র বসিয়ে মেরে ফেলেছে। এবং আমার স্ত্রী রাহেলা বেগম ও মেয়ে জেরিনকে মেরে আহত করেছে।  আমি তৎক্ষনাৎ আমার মেয়েকে চকরিয়া হাসপতালে নিয়ে যায়।  মেয়ে গর্ভবতী, তলপেটে লাতি মারায় মেয়ের অবস্থা খারাপ।  মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রামে রেফার করে দিছে। আমার মেয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে।
আমি এটি নিয়ে মামলা করবো।
উভয়ের সাং লামা উপজেলার ০৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ড কুমারী নিজ পাড়া এলাকায়।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button