রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে এক কৃষকের জমিতে পানি সেচ না দিয়ে আলু ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে গভীর নলকূপের অপারেটর মোজাম্মেল মোল্লার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার মধুপুর পশ্চিম মাঠে কৃষক এনামুল হকের ফসলের জমিতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী কৃষক সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ইউএনও এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধুপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হক চলতি মৌসুমে গ্রামের মাঠে বিএমডিএর গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৬ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন। জমিতে আলু রোপনের পর থেকে মাঠে সকল কৃষকের জমিতে পানি সেচ দিলেও তার জমিতে পানি সেচ দেয়নি গভীর নলকূপের অপারেটর একই গ্রামের মোজাম্মেল মোল্লা। এতে পানির অভাবে কৃষক এনামুলের ক্ষেতের আলু নষ্ট হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষক এনামুল হক জানান, আমার জমিতে পানি সেচ না দেওয়ায় স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য লোকজন নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে পানি সেচের জন্য ১৫শ’ টাকা মিটমাট হলেও পরে আর পানি দেয়নি। ফলে ক্ষেতের ফসল (আলু) নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি দাবি করে বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে নলকূপের অপারেটর মোজাম্মেল জমিতে পানি সেচ দেয়নি। এতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। বাধ্য হয়ে সুবিচার পেতে সোমবার উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ইউএনও এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
স্থানীয় মেম্বার হেলাল উদ্দীন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করেছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষের জিদের কারনে পরে আবারো তা ভেস্তে গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে গভীর নলকূপের অপারেটর মোজাম্মেল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে আব্দুল মমিন মোল্লা বলেন, ধানের জমিতে পানি সেচ দিয়ে গত দুই বছরেও এনামুল কোন টাকা দেয়নি। তার জমিতে পানি সেচ ও জমিতে চাষ বাবদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা পাওনা রয়েছি আমরা। টাকা চাইলে নানাভাবে টালবাহনা করে। ফলে আমরা জমিতে পানি সেচ দিইনি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ইউএনও উম্মে তাবাসসুম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।