টিআই তারেক: ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিক সমাজকে পাশে থাকার আহবান জানিয়ে যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বন্ধ করা যায়নি। বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে প্রায় সাড়ে পাঁচশত নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষনার দিন একশ’ ২৭ জনকে হত্যা করেছিল স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকার। হত্যা-গুম-ফাঁসি দিয়ে জামায়াতকে স্তব্ধ করা যায়নি বরং জামায়াতের নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে।
২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে যশোরে কর্মরত স্থানীয় এবং জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক এবং টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী থানার উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খন্দকার রশীদুজ্জামান রতন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও এক্টিভিস্ট বেনজীন খান, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর, দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, সাবেক সভাপতি এম. আইউব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম রসুল আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে জামায়াত প্রায় দু’লক্ষ করে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
জেলা আমীর বলেন, আমরা ঐক্যমতের সরকার গড়তে চায়। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে গিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তারপরও কারো ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না। আমরা দেশ গড়ার স্বার্থে সবাইকে ক্ষমা করে দিচ্ছি। কিন্তু সারা দেশে যে হত্যা-গুম এবং নির্যাতন হয়েছে তার বিচার এই দেশের মানুষ করবে ইনশাআল্লাহ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, দেশের সেনাবাহিনী যে দেশপ্রেমিক তারা আবার প্রমান করেছে ছাত্র-জনতা এবং দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে।
ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, অতিতে কি ঘটেছে তা আমরা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতে চাই। দেশকে ভালবাসার আহবান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী সবাইকে সাথে নিয়ে দেশে ন্যায় এবং ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।
মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন পেশাজীবী থানার সেক্রেটারি আবু ফয়সাল। উপস্থিত ছিলেন অফিস সেক্রেটারি গাউসুল আযম ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মাইনুল ইসলাম। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাবেক সভাপতি নূর ইসলাম, সাবেক সভাপতি শহিদ জয়, প্রেসক্লাব যশোরের দপ্তর সম্পাদক কাজী আশরাফুল আজাদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলম, সিনিয়র সাংবাদিক রাজেক জাহাঙ্গীর, সাইফুর রহমান সাইফ, শিকদার খালিদ, বিএম আসাদ, মিজানুর রহমান মুন, জুয়েল মৃধাসহ অন্যান্যরা।