
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচনের আগে সব দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের দিকে না এগোনোর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা হবে জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সব দল যেন নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা চালাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আজকের সমাবেশের এটিই একটি বড় দাবি।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত না করে আপনারা নির্বাচনের দিকে হাঁটবেন না। তা হলে সেটা আরেকটি প্রতারণামূলক নির্বাচনই হবে। নির্বাচন তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সব রাজনৈতিক দল নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে নুর বলেন, “যারা ইসলামী আন্দোলন করেন, তারা জানেন—আল্লাহ ধন-সম্পদ, ক্ষমতা দিয়ে আবার নিয়েও পরীক্ষা করেন। গত ১৬ বছর আল্লাহ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছেন। আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি বলেই তিনি আমাদের ‘রহমতের জুলাই’ উপহার দিয়েছেন। সেই জুলাইয়ে বাংলাদেশের জনগণ দৈত্য-দানবের মতো চেপে বসা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে।
তবে নতুন বাস্তবতায় একটি সংকটের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি—একসময়ের মজলুম শক্তি, যারা অভ্যুত্থানের অংশ ছিল, তারা আজ অহংকারে ভর করে জালিমে পরিণত হচ্ছে। আমি তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যদি আমরা সীমালঙ্ঘনকারী হয়ে যাই, তাহলে শেখ হাসিনার মতো আমাদেরকেও আল্লাহ ছাড় দেবেন না।”
সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার সংগ্রাম এবং রক্তের বিনিময়ে আমরা যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন পেয়েছি, সেটিকে টেকসই করতে হলে দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতে মৌলিক সংস্কার আনতেই হবে। তা না হলে এই পরিবর্তনের অর্থহীনতা প্রমাণিত হবে।