মৌলভীবাজার প্রতিরিধি: মৌলভীবাজারের আগের চাইতে সবজি বাজার দিগুণ দামে পণ্য বিক্রয় হইতেছে । নিম্নে শ্রেণি মানুষ দিশাহারা কারন প্রতি কেজি কাঁচা বাজারের পণ্য গুলো দিগুণ দামে কিনতে হয় ।দেখা যায় ব্রয়লার মুরগি কয়েক সপ্তাহ ধরে ২২০-২২৫ টাকা বিক্রির পর অবশেষে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ২০৫ টাকা। তবে মুরগির দাম কমলেও তেমন কোনো সুখবর নেই সবজি বাজারে। আগের মতো চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে বেগুন, শসা, করোলাসহ সব ধরনের সবজি। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমেছে মসলা পণ্যটির।আজ রোববার পশ্চিমবাজার.কোর্ট মার্কেট ও চৌমুহনা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। এছাড়া সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ২৯৫ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের জায়গায় স্থির রয়েছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।টিসি মার্কেট ও পশ্চিম বাজারের কাচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের প্রথম দিন ৯০ টাকা কেজি দরে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হলেও চতুর্থ রমজানে এসে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে।এই বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর দাম ১০০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০থেকে ৮০টাকা, করলা ৮০টাকা, ঢেঁড়স ৮০টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, খিরা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে। পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা, পটল ৯০ টাকা ও সজনে ডাটা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।বাজারে প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০থেকে ৫০টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রকলি প্রতিটি ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবুর হালি ৪০ থেকে ৮০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং কাঁচা মরিচের কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা।বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৯০০ টাকা কেজি, চাষের শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকার ভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইন ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন
জনস্বার্থে ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্যের অযৌক্তিক বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত মুনাফা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা, ন্যায্য দামে খাদ্য পণ্য বিক্রয় করা, পাকা ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণকরাজন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা অনেক প্রতিষ্ঠান কে জরিমানা করেছি। বেশি দামের বিক্রয় করার জন্য