মাদারীপুরে ২ শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা: আটক মা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদারীপুর শহরের সবুজবাগ (বালুঘাট ) এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম এর বাড়ির ভাড়া বাসায় ২ সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মা।
বুধবার (১০জুলাই) আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৩টায় ঘরের দরজা বন্ধ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বসে থাকে মা। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার করে মাকে আটক করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাজায়,সবুজবাগ (বালুঘাট ) এলাকার সৌদি প্রবাসী হালিম খান ও তাহমিনা তাবাচ্ছুম দম্পত্তির দুই শিশু সন্তান। একজন ৩ বছর বয়সী কন্যা সন্তান জান্নাতুল ফেরদৌস, অপরজন ১ বছর বয়সী পুত্র সন্তান মেহেরাজ। স্বামীর সাথে পারিবারিক ঝামেলার পর তাহমিনা আক্তার তার বাবা তারা মিয়া‘র ভাড়া বাড়িতে এসে থাকেন। এরই মধ্যে তাহমিনা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তার চিকিৎসা চলছিল।
বুধবার দুপুরে তাহমিনা তাবাচ্ছুমের মা ছাদে কাপড় শুকাতে গেলে সে দুই সন্তানসহ তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরই মধ্যে জান্নাত ও মেহরাজ এই দুই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘরের লোকজন দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পুলিশকে খবর দেয়। মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ দরজা ভেঙ্গে মশারি টাঙানো অবস্থায় খাটের উপর ২ শিশুর লাশ নিয়ে মাকে বসে থাকতে দেখে।
কেন হত্যা করলেন জানতে চাইলে তাহমিনার বাবা তারা মিয়া বলেন, স্বামীর বাড়ির অত্যাচারে কারনে আমার মেয়ে মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলেছে। আমি তাদের বিচার চাই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ মনিরুজ্জামান ফকির বলেন,আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পারি যে, মাদারীপুর শহরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন, সবুজবাগ (বালুঘাট ) এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম এর বাড়ির ভাড়া বাসায় মা তার শিশুদের নিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে আছে। এর পর আমাদের থানার অফিসার ইনচার্জ সাথে সাথে এসে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিশু দুটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এবং পরবর্তীতে যাচাই বাচাই করে দেখে বাচ্চা দুটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সাথে সাথে বাচ্চার মাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেই। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাদের কে শ^সরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শিশু দুটির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button