সাবরীন জেরীন : স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার (২৮এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯ টায় জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণ হতে পায়রা উড়িয়ে আদালতের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে আলোচনা সভা, শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবীকে সম্মাননা প্রদান, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও সেচ্ছায় রক্তদান র্কমসূচী ও ৩দিন ব্যাপী লিগাল এইড মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ( ১ম আদালত), মাদারীপুর এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়লাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে ও জেলা লিগাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ তানিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বাবুল আকতার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদারসহ অন্যান্যরা। এসময় শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবীদেরকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,যুগ্ন জেলা জজ মোঃ শরীফুল হক, যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ কোহিনুর আরজুমান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ-উল হাসান, ,সহকারী জজ মোঃ আতিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, সহকারী জজ পলিনা আকতার স্মৃতি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,দরিদ্রদের বিনামূল্য আইনী সহায়তা দেবার জন্য লিগ্যাল এইড চালু করেছে বর্তমান সরকার। প্রতিটি অস্বচ্ছল মানুষের আইন সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বর্তমান সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তবে আদালতে না গিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আপোস-মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি উত্তম পথ। এর ফলে সরকার ‘বিনা বিচারে কারাগারে আটক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডি কর্মজীবী,
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু কোন ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক যার বার্ষিক আয় করমুক্ত তাদের বিনামূল্যে আইনী সহায়তা প্রদান করছে।
উল্লেখ্য যে, মাদারীপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে জানুয়ারী ২০২৩সাল হতে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত আইন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৬৬০ জনকে, মামলা সংখ্যা ৩৫০টি, অদ্য সময়ে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ২২৮ টি। চলমান মামলা রয়েছে ৬০৫ টি, প্রি-কেইস এডি আর দায়ের হয়েছে ৪৬৮টি, এডি আর মিমাংসিত হয়েছে ২০৯ টি, নথিজাত এডি আরের সংখ্যা ২৩৩টি, বর্তমান চলমান এডিআর রয়েছে ১০৮ টি, এডি আর মাধ্যমে জানুয়ারী ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত মোট অর্থ আদায় হয়েছে ১,৩৭,৪৩,৫০০/- এক কোটি সাতত্রিশ লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার পাঁচশত টাকা। যা এডিআরের ক্ষতি গ্রস্থদের মধ্যে তুলে দেওয়া হয়।