জাফর ইকবাল অপুঃ জাতীয় শিক্ষক ফোরাম খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান বলেছেন, জুলাই মাস ছাত্র- জনতার বিজয়ের মাস। হাজার হাজার ছাত্র- জনতার তাজা জীবন ও রক্তের বিনিময়ে দেশ অপশাসন মুক্ত হয়েছে। দেশকে দূর্নীতি, দু:শাসন মুক্ত করে গড়তে শিক্ষক সমাজকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করতে বিগত সরকার নৈতিকতাবিহীন, ভারতীয় ও পশ্চিমা সংস্কৃতি নির্ভর কারিকুলাম-২১ চালু করেছে। অনতিবিলম্বে এই ইতিহাস বিকৃত ও চরিত্র বিনাশী বিতর্কিত কারিকুলাম বাতিল করতে হবে।
সেই সাথে ইসলামিক স্কলারদের সমন্বয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করে জনগণের প্রত্যাশার আলোকে নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
শনিবার ১৭ আগস্ট সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে গণহত্যার বিচার, কারিকুলাম-২১ বাতিল, শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে জুলাই গণহত্যার বিচারসহ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মাহবুবুল আলম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আহত সকল ছাত্র-জনতার তালিকা তৈরি করে সুচিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবী জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির আলোচনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন।
মানববন্ধন শেষে জুলাই আন্দোলনে আহত, নিহত সবার জন্য মাগফেরাত কামনা ও দুয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরাম খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মোঃ কামরুল ইসলাম কচি, মাওলানা হারুনুর রশিদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মুফতি মিজানুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা জেলা সভাপতি মোঃ মুফতি ফজলুল হক ফাহাদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ খালিদ হোসেন নাজমুল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা সভাপতি ফরহাদ মোল্লা, নগর সহ-সভাপতি মাহদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, ইউসুফ গাজী সহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ