বান্দরবান প্রতিনিধি: গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) ইয়াংছা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকানসহ একটি বাড়ি আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ঘটিকার সময় বান্দরবান জেলা পরিষদ ও লামা উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে নগদ অর্থসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জন ব্যবসায়ীকে নগদ ০৭ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা,প্রতিজনকে ২০কেজি করে চাল, ২কেজি ডাল, ২কেজি আলু ও ২কেজি সয়াবিন তৈল বিতরণ করা হয়।
সেই সাথে লামা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিজনকে নগদ ৬ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৬০হাজার টাকা ও ২ বাইন টিন বিতরণ হয়েছে। ৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিজনকে একটি করে মোট ১০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে।
উক্ত নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,লামা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান,মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার,শান্তনু কুমার,বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য,ফাতেমা পারুল,মাহবুবুর রহমান,লামা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি বিজয় কান্তি আইচ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ,৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হোসাইন চৌধুরী।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য আনাই মার্মা সুমি,ইউপি সদস্য, আপ্রুসিং মার্মা,মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ আবু ওমর,মোঃ ইসমাইল(পুতু),স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি সাংবাদিকসহ প্রমুখ।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার,শান্তনু কুমার বলেন, এখন ফাগুন মাস, বসন্ত চলতেছে, এসময় প্রচুর গরম, তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এবং সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। গতকাল অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার সাথে সাথেই আমরা চলে আসছি।
লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, গতকাল অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই এসে দেখেছি অনেক দোকান পুড়ে গেছে। এবং তিনজন আহত হয়েছে শুনেছি, একজনকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। সে বর্তমানে ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে। এই অগ্নিকাণ্ড থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইয়াংছা বাজারের জ্বালানি তেলের দোকান গুলো আলাদা করে করতে হবে। আমি আমাদের সাধ্য মতো আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি এবং পরবর্তীতেও থাকবো।
বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুল বলেন, গতকাল অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনে আমি ইয়াংছা বাজারে গিয়ে দেখেছি,অবস্থা খুবই খারাপ, তখন সাথে সাথে আমাদের সম্মানিত চেয়ারম্যানকে অবগত করি। চেয়ারম্যান ঢাকাতে থাকার কারণে আমাদের এইখানে উপস্থিত হতে পারেনি। আমরা আমাদের জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।