
জহিরুল ইসলাম ,পটুয়াখালী: পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুম এখন পটুয়াখালীর মানুষের নিত্য খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে। উচ্চমাত্রার আঁশ, ভিটামিন বি, সি ও ডি, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান এবং পটাসিয়ামসমৃদ্ধ এই খাদ্য রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে মাশরুমের কদর বাড়ছে, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে ইফতারির উপকরণ হিসেবে এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে পটুয়াখালীতে প্রতি কেজি মাশরুম ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অল্প জায়গায় ও স্বল্প বিনিয়োগে চাষ করা সম্ভব হওয়ায় নতুন উদ্যোক্তারা মাশরুম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। শুধু শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও মাশরুম চাষ ছড়িয়ে পড়ছে।
সদর উপজেলার শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক তার বাড়ির একাংশে মাশরুম চাষ শুরু করেন। প্রথমে শখের বসে শুরু করলেও বর্তমানে এটি তার জন্য একটি লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, কৃষি বিভাগের সহায়তায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে চাষের কৌশল শিখেছেন। বর্তমানে প্রতিদিন তার খামার থেকে তাজা মাশরুম সংগ্রহ করছেন স্থানীয় ক্রেতারা।
পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি কয়েক মাস ধরে নিয়মিত মাশরুম খাচ্ছি। রমজান মাসেও ইফতারির বিভিন্ন পদে মাশরুম রাখছি। তাজা মাশরুম পেতে আমি সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করি।”
পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মাশরুম চাষকে জনপ্রিয় ও লাভজনক করতে সরকার প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। নতুন উদ্যোক্তারা যাতে সহজে চাষ শুরু করতে পারেন, সে জন্য উন্নত জাতের বীজ, প্রশিক্ষণ ও বাজারজাতকরণে সহায়তা দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।”
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে মাশরুম চাষ এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। বাজারের চাহিদা বৃদ্ধি এবং সরকারি সহযোগিতার ফলে পটুয়াখালীতে মাশরুম চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
####