নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের নিথর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী আশিকুল হক মোল্লাকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। তবে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
শুক্রবার সকালে নীলফামারী সদরের নগর দারোয়ানী এলাকার মোল্লা পাড়ার ব্যবসায়ী আশিকুল হক মোল্লার বাড়ির সামনে রক্ত দেখে চিৎকার করে একজন প্রতিবেশী। চিৎকার শুনেই জড়ো হতে শুরু করে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা এসে আশিকুল মোল্লার বাড়িতে ঢুকেই দেখে গলাকাটা অবস্থায় ছটফট করছে সে। অপরদিকে তার শয়ন কক্ষের বিছানায় স্ত্রী তহুরা বেগম, দুই মেয়ে আয়েশা ও জারিনের নিথর মরদেহ পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা আতিকুল মোল্লাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা সকালে প্রতিবেশীর চিৎসার শুনে এখানে এসে দেখি আশিকুর হক মোল্লা গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে। তার শোয়ার ঘরের বিছানায় তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের মরদেহ পড়ে আছে। পরে আশিকুল হককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ,সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরত হাল রিপোর্ট করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। হত্যার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে তদন্ত করে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তবে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যাকন্ডের স্বীকার হলেও আশিকুল হক বাবু গলাকাটা অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎধীন রয়েছে।