নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নওগাঁর আত্রাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

কাজী নূরনবী নাইস,নওগাঁ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম বললেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উঠে আসে বাংলা সাহিত্যেকে তাঁর সৃষ্টি অবদান বাংলা সাহিত্য অমর করে রেখেছে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাল্যকালে বিদ্যালয় শিক্ষা গ্রহণ করেননি গৃহ শিক্ষক রেখেই বাড়িতে তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করা হতো। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তার লিখা প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।পরে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
পরে স্মৃতি বিজড়িত আত্রাইয়ের পতিসরের কাচারি বাড়িতে জমিদার বাড়িতে এসে বসবাস করেন এবং অসংখ্য কবিতা কাব্য উপন্যাস এই কুঠি বাড়িতে থেকে লিখেছেন।
আজ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন বুধবার বিকেলে পতিসর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ীর দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনা সভা, সাহিত্য পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পতিসরে প্রধান অতিথি হিসেবে রবীন্দ্রজয়ন্তীর উদ্বোধন করেন নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু। আলোচনা সভায় “সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা এবং রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু” প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে স্মারক আলোচনা করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম মোজাফফর হোসেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানার সভাপতিত্বে নওগাঁ-৩ আসনের সাংসদ সাংসদ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ আসনের সাংসদ ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা, নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া সুলতানা প্রমুখ। এছাড়া কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে কবির গবেষক, ভক্ত ও অনুরাগীদের ঢল নামে। অপরদিকে কাচারি বাড়িতে আগত সকল দর্শনার্থীদের সুষ্ঠ ভাবে সকল অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপভোগ করতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেন স্থানীয় সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর উদ্বোধন শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি সরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এমপি  ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা এমপি আত্রাই রানিনগর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন বক্তব্য দেন,সকলের বক্তব্যে ওঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন মানুষ হিসেবে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে সমাজ এগিয়ে নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের সবই করেছেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, সাহিত্য দিয়ে সকলের মনের অন্ধকার দুর করে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছেন। সেই আলোয় আমরা আলোকিত হবো।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button