নাইক্ষ‌্যংছড়ি’র ঘুমধুমে বন্ধ হওয়া ৫ স্কুল খুলেছে, শিক্ষার্থীরা ফিরছেন পাঠশালায়

নাইক্ষ‌্যংছড়ি প্রতিনিধি : মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী  বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যকার তুমুল সংঘর্ষের জেরে দীর্ঘ ২৩ দিন বন্ধ ছিল সীমান্তবর্তী বিদ্যালয় গুলো। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উক্ত বিদ্যালয় গুলো খুলেছে।শিক্ষার্থীরা ফিরছে আপন পাঠশালায়।প্রান ফিরে পেলো পাঠশালা গুলো। যথারীতি চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তবর্তী এলাকায় ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে। বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার লাগোয়া ভাজাবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাইশফাঁড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে।কচি-কাচা শিক্ষার্থীরা নিজ পাঠশালায় ফিরছেন। শিক্ষকরাও অফিসে উপস্থিত রয়েছেন এবং শ্রেণীর পাঠ কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এদিকে সীমান্তের কাছাকাছি ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ হোসাইন  বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় খোলা হয়েছে। মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে সীমান্ত লাগোয়া ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করেছিল কর্তৃপক্ষ।সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অন্যান্য বিদ্যালয় গুলোর মত আমরাও আমাদের ভাজাবনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় গতকাল(২৭ ফেব্রুয়ারী)পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে যথারীতি খুলেছি।ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে।তাদের চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছাস দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দঘন মূহুর্ত লক্ষ্য করা গেছে। তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড় পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন,শিশু শিক্ষার্থী আবারো প্রানের পরিবেশে ফিরে এসে উ জৎফুল্ল বেশ।আর যেন সংঘাত না হয়,,এটাই সবার কামনা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেন,সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো।সব ঠিকঠাক আছে,তাই বিদ্যালয় গুলো জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় খুলে দেওয়া হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন,সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।সীমান্তের মানুষ অন্যত্র সরে গেলেও তারা এখন বাড়িঘরে ফিরছে,কাজের লোক কাজে যোগদান করছে।বিদ্যালয় গুলোও খুলেছে। প্রসঙ্গত:চলতি মাসের ৫ তারিখ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মাদ্রাসা ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button