নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর “নাজিম উদ্দিন” হত্যাকান্ডের রহস্য  উদঘাটন দুই জন গ্রেফতার 

কাজী নূরনবী  ,জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর ‘নাজিম উদ্দিন ফকির’ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িত দু’জনকে প্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার দুপুরে সদর থানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যটি জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সদর উপজেলার বিলভবানীপুর গ্রামের নিহত নাজিম উদ্দীন প্রায় এক বছর আগে নাপিতকে মারপিটের ঘটনায় একটি গ্রাম্য সালিশ দরবার করেছিল। সেই শালিসে ৩০হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেন তিনি ওই গ্রাম্য শালিসে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষিপ্ত ছিল নাজিমের উপর। তৈরি হয়েছিল শত্রুতার জের, এছাড়া প্রায় ৬/৭ মাস আগে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আপোষ করেন নিহত নাজিম উদ্দীন। এরই জেরে গত সোমবার ১০জুন দিবাগত রাত ১১টার দিকে নাজিম উদ্দীন ফকির বিলভবানীপুর মৎস্যজীবী পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির শালিস শেষে নিজের বাড়ী ফেরার সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে ও হাতুড়ী দিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজিম উদ্দীনের মৃত্যু হয়।
আরও জানান,হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হককে জানালে উনার সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে মঙ্গলবার শহরের দপ্তরী পাড়া এলাকা হতে ওই গ্রামের মৃত-আব্দুস সামাদের ছেলে সুজাত আলী (৩২) ও রঘুনাথপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বের রাগ ও ক্ষোভের জেরে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা নাজিম উদ্দীন ফকিরকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে।এসময় তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাকু ও ভাঙ্গা হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। আটকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই কত্যাকান্ডের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডের মাধ্যমে আরো তথ্য জানা যেতে পারে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান, সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক, সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল গফুরসহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button