
মোঃশাহানজিদ উদ্দিন সোহান, ঝিনাইদহ : বর্ষা মানেই প্রকৃতির প্রশান্তি, সবুজে মোড়ানো প্রকৃতি, মাটির সোঁদা গন্ধ—সবমিলিয়ে এক অনন্য অনুভূতির নাম। কিন্তু এই বর্ষা যখন আশীর্বাদের বদলে অভিশাপে পরিণত হয়, তখন সৃষ্টি হয় জনজীবনের ভয়াবহ দুর্ভোগ। এমনই এক চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায়। টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, যার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের অধিকাংশ মানুষ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা যেন একটি সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও বাজার এলাকা। অনেক জায়গায় পানি দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত উঠে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এক সময় বৃষ্টির পানি খাল ও নদীর মাধ্যমে সহজেই নিস্কাশিত হতো। কিন্তু দখল ও ভরাটের কারণে বর্তমানে এসব খাল ও জলাধার হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে পানি নেমে যাওয়ার পথ না পেয়ে তা জমে গিয়ে সৃষ্টি করছে জলাবদ্ধতা।
এই জলাবদ্ধতার কারণে ছোট যানবাহন থেকে শুরু করে পথচারী সকলের চলাচলে বিপত্তি ঘটছে। গর্তে পড়ে যানবাহনের ক্ষতি এবং মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে প্রায়শই। অনেকে বাড়িঘরে পানির কারণে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ার অভিযোগও তুলেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও এখনো স্থায়ী সমাধান পায়নি তারা।
নাগরিকদের দাবি—দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হোক, যাতে আগামী বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্ভোগ আর না পোহাতে হয়।