জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম (৫৪) হত্যা মামলায় সেনা ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম দুই আসামির উপস্থিত ও পাঁচ আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সর্দার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক, ওসমান আলী সরদারের আ: গফুর ওরফে গফুর (উপস্থিত), মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ (উপস্থিত)। পলতাকরা হলেন- জাহাঙ্গির আলম মণ্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক, মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বিজিবি সদস্য হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।
এদের মধ্যে ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার ব্যাটালিয়ন ঢাকা সেনানিবাসের নায়েব সুবেদার। আর হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল ১৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিপাহি পদে কর্মরত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে যায় আব্দুর রহিম। ১১ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফিরে নাই। পরদিন ১২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড়ে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তার পরিবার মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে বেগুনবাড়ি গ্রামের ঝন্টু, তৌফিকুল ইসলাম ও জুয়েলের নাম উল্লেখ করে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব উল আলম তদন্ত করে ৭ জনের নামে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার (২৪ মার্চ) মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন- সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি, গকুল চন্দ্র মন্ডল, এপিপি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান।