মিজান লিটন।। ইতো মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঁদপুর শহরে সিএনজি চলাচল করতে পারবে না মর্মে জেলা প্রশাসক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এর প্রতিবাদে সিএনজি মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন যেন তারা সিএনজি নিয়ে শহরে পূর্বের ন্যায় চলাচল করতে পারে। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ( ৩০ জানুয়ারি)বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে জেলা সিএনজি মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সিএনজি স্ট্যান্ড মূল শহরের বাইরে রাখবো। আমি আশাকরি আপনারা এই বিষয়ে সকলকে অবহিত করবেন। তবে,আপাতত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বলা হয়েছিল শহরের বাইরের কোনো সিএনজি প্রবেশ করবেনা এবং শহরের অটোরিকশা শহরের বাইরে যাবেনা।
এই বিষয়টি আগামী আরেকটি সভার আয়োজন করে, পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এই শহরে যানযট থাকে মূলত দিনের বেলায়। তাই আমি শহরের মধ্যে কোনো স্ট্যান্ড দিবো না। লাগলে আরো বাড়িয়ে দিবো, কিন্তু শহরের ভিতরে কোনো স্ট্যান্ড থাকবেনা।
আমি চাই আপনারা আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সন্মান দেখান, আমিও আপনাদেরকে সন্মান দেখাবো। আমি আপনাদের ভালো চাই,আমিও শ্রমিকদের কষ্ট বুঝি। এছাড়াও তিনি ড্রাইভার শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,দেশের কোন জেলা শহরে সিএনজি স্ট্যান্ড নেই, যত স্ট্যান্ড আছে সব শহরের বাইরে। আমাদের এই শহরের রাস্তাগুলো সংকুলন ছোট তাই দিনের বেলায় সকল প্রকারের জান একসাথে চলাচল করে যার জন্য যানজটের বৃদ্ধি হয়।
এই শহরটাকে সুন্দর রাখতে আপনার আমার সকলের দায়িত্ব। তাই আমরা সকলে মিলে এই শহরটাকে বাঁচাতে চাই।
এসময় বক্তব্য রাখেন- জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী ওমর ফারুক, কার্যকরি সভাপতি জহির ইসলাম পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সলিম গাজী, সিনিয়র সভাপতি মোঃ মিন্টু বেপারী, সহ-সভাপতি লতিফ খান, দপ্তর সম্পাদক শামীম মিজি, প্রচার সম্পাদক সবুজ মিয়া, সহ সম্পাদক ভূট্টু মাল, মোঃ আবু তাহের মিজি,শ্রমিক নেতা বিল্লাল দর্জি, হাসান শেখ, মাহমুদ আলী খান, কবির হোসেন হাওলাদার, আবদুল কাদের জুয়েল, মালিক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক- মোঃ হাবিবুল ইসলাম সুমন, কার্যকরি সভাপতি মোঃ লিটন মোল্লা, সদর মালিক সমিতির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসাইন নয়ন, মতলব দক্ষিণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল আউয়াল, জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্যের শ্রমিক দলের সভাপতি জব্বার ঢালি, জাতীয়তাবাদী সিএনজি শ্রমিক দলের সভাপতি মুকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হালিম মাতাব্বর, পৌর সিএনজি শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মনির মিজি, যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন মিয়া,আনোয়ার হোসেন সহ মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সভা শুরুর দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন সিএনজি মালিক শ্রমিকসহ তিন সমিতির পক্ষ হতে বিভিন্ন মাতামত নেন। মতামত কালে তারা বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং বলেন,আমরা সরকারের সকল ধরনের ভ্যাট ট ও রোড পারমিট দিয়ে রাস্তায় চলাচল করি আমাদেরকে এই শহর থেকে সরিয়ে দিলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাতে মারবো আমাদের দিকটিও আপনাদের কি চিন্তা করতে হবে। শহরের মূল পয়েন্টেই লঞ্চ ঘাট সিএনজি পাম সদর হাসপাতাল সহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাই আমাদের শহরে আসতেই হয়।
যদি আমরা শহরে না আসতে পারি আমাদের ভাড়া কমে যাবে আমাদেরকে অর্থকষ্টে দিন যাপন করতে হবে। আপনারা আমাদের দিকটিও বিবেচনা করে দেখবেন
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম,পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল উপ-পরিচালক- মোঃ গোলাম জাকারিয়া, ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রভাত চাকমা।
জেলা বিআরটিএ সহ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ সিএনজির মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ
