চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মমতাজ বেগম রিক্তা (৩৫) নামে এক নারী বিউটিশিয়ানের গলা ও পায়ের রগ কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নৃশংসভাবে হত্যার পর ওই নারীর মৃতদেহ কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দেয়া হয়।
বুধবার রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারী বাড়িতে নিজ বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত রিক্তা ওই বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে। তিনি স্থানীয় গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূবরণ বিউটি পার্লারের মালিক।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিক্তা প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরেন। স্বামী প্রবাসে এবং তার কোনো সন্তান না থাকায় মৃত বোনের একমাত্র ছেলে বাপ্পিকে (১৮) নিয়ে বসবাস করতেন। বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি দোকানে মোবাইল মেরামতের কাজ শিখছে।
রাত ৮টার দিকে বাপ্পি বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানায়। রিক্তার চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী আক্তার, তার মা ও বাপ্পিসহ ঘরে প্রবেশ করে খোঁজাখুঁজি করার পর টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়।
এ ঘটনা ঐশী তার বাবা মাহফুজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রিক্তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।
গত প্রায় দশ বছর আগে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস আগেও সে ছুটি কাটিয়ে গেছে। রিক্তার কোনে সন্তান নেই।