খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জাফর ইকবাল অপুঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে খুলনায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১০:৩০ টায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেট্রোনিক ও অনলাইন মিডিয়ার প্রায় শতাধিক সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান ভুঞা। এরপর সাংবাদিকগণের সাথে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরিচয়পর্ব শেষে উপস্থিত সাংবাদিকগণ প্রাণবন্ত আলোচনা করেন এবং বিগত আমলের দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম তুলে ধরে ন্যায় বিচার ও শান্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। শুরুতেই সস্মানিত সাংবাদিকগণ কুয়েটের নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ-কে অভিন্দন জানান এবং বলেন “আপনার মত আন্তর্জাতিক মানের একজন গবেষক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষককে কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বর্তমান সরকার দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে এটাই সব থেকে বড় প্রমাণ। এরপর তাঁরা বলেন “ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বিভিন্ন কুচক্রী মহল আপনার বিরুদ্ধে যে কুৎসা রচনা করছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই”। সাংবাদিকগণ তাদের বক্তব্যে “কুয়েটে টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্য, হলসমূহে ঘঠিত সকল দূর্নীতি, ইইই বিভাগের মরহুম অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেন-এর হত্যার বিচারসহ সকল ধরনের দুর্নীতি এবং পূর্বে সংঘঠিত সকল অন্যায়ের বিচার দাবি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং উক্ত আন্দোলনে আহত হয়েছেন ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শোক-সন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন “কুয়েটকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে আমার প্রধান উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য যা যা করার তা আমি করতে কোনোভাবেই পিছপা হব না। পৃথিবীতে আমি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না। এতদিন কুয়েটে যত ধরনের দূর্নীতি অনিয়ম হয়েছে তা কেবল বন্ধ করা হবে না অবশ্যই তার বিচার করা হবে। প্রতিষ্ঠানটিতে টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগে দূর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, হলসমূহে অনিয়ম এসব ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে ন্যায়ের দৃষ্টিকোন থেকে সবকিছুই করা হবে”। তিনি তাঁর বক্তব্যে কুয়েটকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের সাংবাদিকবৃন্দের ভূমিকা ও অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি সাংবাদিকগণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কুয়েটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরেন এবং কুয়েটকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে সাংবাদিকবৃন্দের সহযোগিত কামনা করেন।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button