খালেদা জিয়া চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই বিদেশে যাবেন

অনলাইন ডেস্ক: ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবার থেকে বারবার আবেদন করলেও ফিরিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছাড়লে ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।

বিএনপি সূত্র বলছেন, গত কয়েক বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে নানা অজুহাতে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার দিন রাতেই তার নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ও চিকিৎসকদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ১৫-২০ ঘণ্টার লম্বা জার্নি করার মত শারীরিক অবস্থা নেই। যে কারণে এই মুহূর্তে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে অনুমতি দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে তার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন চিকিৎসদের অনুমতি পেলেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে ১৫-২০ ঘণ্টা জার্নি করার মতো ম্যাডামের সেই শারীরিক অবস্থা আছে কিনা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে গেলাম, কিন্তু লম্বা জার্নি করার পর যদি শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায় তাহলে তো লাভ নেই।

তিনি বলেন, যখন চিকিৎসকরা অনুমতি দেবেন, তখনই আমরা চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেব। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। এখন শুধু চিকিৎসকদের অনুমতির অপেক্ষায় আছি।

বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, আগের মতোই আছেন। উনার শারীরিক অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে ম্যাডামকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। তখন ভিসা কোনো বাধা হবে না। উনার ভিসা পেতে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা লাগবে। বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে তো আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ও ভালো সম্পর্ক আছে।

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের এ দিনে দিনাজপুরে তার জন্ম। দিনটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত কয়েক বছর এই দিনে বিশেষ কোনো কর্মসূচি পালন করেনি দলটি। বর্তমানে খালেদা জিয়া রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিএনপি নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার ৭০তম জন্মদিনে সিদ্ধান্ত হয় এরপরের জন্মদিনগুলোতে ১৫ আগস্ট তিনি আর কেক কাটবেন না। কেক কাটার পরিবর্তে মিলাদ মাহফিল ও জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট ৭১তম জন্মদিনে কেক না কেটে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল করা হয়। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ৭৫তম জন্মদিনে ১৫ আগস্টের পরিবর্তে এক দিন পিছিয়ে ১৬ আগস্ট মিলাদ মাহফিল ও কবর জিয়ারতের আয়োজন করে আসছে দলটি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বন্যা, গুম-খুনকে কারণ দেখিয়ে কেক কাটার কর্মসূচি বাতিল করা হয়।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button