
যে কোটার জন্য রক্ত ঝরেছিলো রাস্তায়, যে কোটার জন্য ছাত্র লাশ হয়েছিলো মাঠে, যে কোটার জন্য কাঁদে আজও শহীদের মা, সে কোটায় আজ সোনার সিংহাসন? কি আশ্চর্য এই ব্যঙ্গাত্মক খেলা! অন্তঃসত্ত্বা পুলিশ মা— হ্যাঁ, তিনিও শহীদ হয়েছিলেন রাষ্ট্রের বেদনায়। তবু থামেনি আন্দোলন, কারণ স্বপ্ন ছিলো: ন্যায্যতা, স্বপ্ন ছিলো: সুযোগে সমতা। আর এখন? এখন কী হচ্ছে বলো? লিখিত? ভাইভা? সে তো সাধারণদের জন্য! কোটাধারীর জন্য দরজা খুলে রাখা সোজা, যেন জন্মসূত্রেই লভ্য পদক! মেধা? তা এখন শুধু সাজিয়ে রাখার মিউজিয়ামে, যোগ্যতা এখন কফিনে শোয়ানো, আর উপহার— কে তুমি? কই থেকে আসছো? এই প্রশ্নেই মেলে চাকরির নামা। প্রেমেও এখন কোটা চলে! কে কার প্রেমিক? কে কোন ক্লাসে পড়ে? কে বড় অফিসারের বোন, সে বুঝেই ভালোবাসার নিয়োগপত্র! এ কোটার জন্য শহীদরা রক্ত দেয়নি, এ বৈষম্যের জন্য ছাত্র মরেনি! এখনকার কোটা তো এক পক্ষপাতের সাম্রাজ্য— একটি সুবিধাবাদী জাতের প্রজন্ম গড়ার ছক! না! এ কোটা নয় আমাদের দাবি! না! এ বঞ্চনার ব্যানার আমরা বইব না আর! মেধা থাকবে শীর্ষে—এই হোক মূল কথা! সমতা, ন্যায্যতা—সেই হোক আগামীর প্রতিজ্ঞা!