এম এইচ চৌধুরীঃ থানচিতে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের জন্য পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের হরতালকারী সদস্যরা। এতে বান্দরবান হতে রুমা, থানচিগামী সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, থানচি উপজেলার বাকলাই ১১ কিলো নামক এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পন্য পরিবহনে ব্যবহৃত একটি হিনো ডাম্পার ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সকালে নীলগিরি, থানচি, রুমা,বগালেকগামী চাঁন্দের গাড়ির পথরোধ করে ৫/৬ জন “পর্যটক”কে অপহরণ করে পরবর্তী তাদের মুক্তি দেয়। প্রতি মধ্যে কয়েকজন ড্রাইভার ও হেলপার’কে মারধর করে। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন স্থানীয় বয়জৈষ্ঠ ব্যক্তি বলেন দুই পক্ষের রক্তের খেলা বন্ধ করতে হলে জেলার সিনিয়র নেতৃত্বদানকারীদের বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে এতে কোন সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেন।
থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন মিঞা জানান বেলা ৪টার সময় গাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে আমার নেতৃত্বে , ঘটনা স্থলে পৌঁছে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে দেখা যায়নি।
মার্মা সম্প্রদায়ের সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস (সন্তু) জেএসএস (মানবেন্দ্র) সমর্থিত হলেও বম সম্প্রদায়ের একমাত্র সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) মার্মা সম্প্রদায়ের দাবি তারা শুধু ব্যক্তি উপর আক্রমণ করে শান্ত হয়নি। কুকি-চিন বাহিনী’রা দীর্ঘদিন যাবত মারমা সম্প্রদায়ের গ্রামে অনুপ্রবেশ করে, (বিনা অনুমতি)তে কারও কুকুর, ছাগল, শুকর মুরগী নিয়ে যেতো জোরপূর্বক ভাবে। আবার তার চেয়ে বেশি অপরাধ ছিলো এলাকার বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় বিহারে উঠে ভান্তেদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ডাকাতি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ডাকাতি, চাঁন্দাবাজি সহ অসহনীয় অত্যাচার। ইদানীং সাধারণ নিরীহ এলাকা রিঝুক পাড়া’তে প্রবেশ করে পাড়ার ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের বাড়ি থেকে ডাকাতি ও উহ্লাচিং মারমা কে গুলি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। অপর দিকে জেএসএস মানবেন্দ্র গ্রুপের দাবিতে বলা হয় চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা ও ভাংচুরের কারণ হিসাবে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কুকি-চিন বাহিনীর প্রধান এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এবং কুকি চিন বাহিনীদের’কে প্রশাসনিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করে আসছিলো এই থান খাম লিয়াম বম। তবে বম সম্প্রদায়ের কোন নেতৃবৃন্দের দিতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ বম সম্প্রদায়ের সংগঠন হওয়ায় জেএসএস সমর্থিত লোকজন তাদের কোনঠাসা করার জন্য নানাবিধ মিথ্যা ভিত্তিহীন আক্রমণ পরিচালনা করছে বলে জানান।