ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ : কঠোর নিরাপত্তায় খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। পরে বস্তায় ভরে মসজিদের ২য় তলায় মেঝেতে ঢেলে সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়েছে গণনা কার্যক্রম।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ৩ মাস ২৬ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। যেখানে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫ জন পুলিশ সদস্য ৯ জন আনসার সদস্য, ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৩০ জন সেনা সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গণনা কাজে ২৪৫ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। দিনভর গণনা শেষে মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।
পাগলা মসজিদে দান করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয় এই আশা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এখানে দান করে থাকেন।
সর্বশেষ পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। যা এ যাবতকালের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। গণনায় ৯৮ মাদ্রাসার ছাত্র, ৯ শিক্ষক, ৭০ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেন। দিনভর গণনা শেষে দানের মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।
জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াইশ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তকুল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমির উপর গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।