জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ : অবৈধ অস্ত্রের পৃথক দুই মামলায় মেডিকেলের শিক্ষক ডা. রায়হান শরিফকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বর্তমান তাকে কারাগারের আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে তেমন একটা কথাবার্তা বলছেন না। সাধারণ বন্দীদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ রয়েছে, তিনি সেই খাবারই খাচ্ছেন। সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান বলেন, প্রতিদিন নতুন আসামিদের প্রথমে আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে তিন-চার দিন রাখার পর অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
কারাগারে আসার পর থেকে তিনি স্বাভাবিক আছেন। নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তিনি ভালো আছেন, কোনো সমস্যা নেই। প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। এ সময় পড়ে থাকা একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। তার ব্যাগটিও জব্দ করা হয়। ব্যাগের ভেতরে আরও একটি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড গুলি, চারটি ম্যাগজিন, দুটি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু জব্দ করা হয়।
এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে গত মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে রায়হানের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করে। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করেন। দুই মামলায় শিক্ষক রায়হান শরীফ আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।