তিনি বলেছেন, অপতৎপরতা বন্ধে ডিএমপি সর্বদা তৎপর। ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের বাজার পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। এই সময়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে এবং ঈদকে ঘিরে কোনো হুমকি আছে কী না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এই সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। তাই আমরা পরামর্শ দেবো নগরবাসীর মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ঈদ ঘিরে ছিনতাই রোধে ডিএমপির সবগুলো টিম কাজ করছে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএমপির ৮ বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর বর্তমানে ডিএমপিতে ছিনতাইয়ের হার নিম্নমুখী। অর্থাৎ কমতে শুরু করেছে।
ঈদের কেনাকাটার কারণে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরবাসী বাইরে থাকছেন। ফলে সড়কে গাড়ির চাপ থাকে। কিন্তু রাতে ট্রাফিক সদস্যরা না থাকার কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমরা রমজানে শুরুতে নেইনি। এখন দেখছি যে মানুষ রাতে মার্কেট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করায় দোকান ও মার্কেট খোলা থাকছে। আমরা এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।