আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়া হলো প‍্যানেল চেয়ারম‍্যান-১ ও যুবলীগ নেতাকে

আনোয়ার হোসেন, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একই ইউনিয়নের যুবলীগের ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি,  ইউপি সদস‍্য ও প‍্যানেল চেয়ারম‍্যান -১ বাহাদুর রহমানকে।
বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ইউনিয়ন পরিষদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি বাহাদুর রহমানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়ায় জনে মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত ২৭/১০/২০২৪ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৮ নং গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প‍্যানেল চেয়ারম‍্যান-১ ও যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি বাহাদুর রহমান কে দায়িত্ব অর্পণ করেন।
উপর্যুক্ত বিষয় ও স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলীর বিরুদ্ধে ০৯ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্থলে মোঃ বাহাদুর মিয়া ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য, যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে ইউনিয়নে সব কিছুতেই আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য ছিল। চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা বলে ইউপি মেম্বারদের নির্বাচিত করে নেন। যারা ইউপি সদস্য রয়েছেন তাদের ৭ জনই সরাসরি আওয়ামী লীগের পোস্টেড। সেই সাথে ছাত্র-জনতার উপর সরকারি হামলায় এই সকল ইউপি সদস্য অংশ নেন। তারপরেও কোন এক ছায়া লবিংয়ের মাধ্যমে এই যুবলীগ নেতা প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।যুবদলের এক নেতা জানান, এতো রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে যদি আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হয় তবে প্রতিটি শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে। অবশ্যই প্রশাসনের এই ব্যাপারে সজাগ থাকা উচিত। সেই সাথে আমরা ইউনিয়ন বিএনপির সংস্কার দাবি জানাই।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ৩ নং ওয়ার্ড সদস‍্য শহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী অপশক্তির কাছে আমি সবখানেই বৈষম‍্যের শিকার হয়েছি। কোথায় ও কথা বলতে পারি নাই। অথচ তাদেরকে পূর্নবাসন করা হচ্ছে।ছাত্রদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির সাঃ সম্পাদক একেএম তাজুল ইসলাম ডালিম বলেন, নতুন বাংলাদেশে একটি ইউনিয়ন পরিষদে কিভাবে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি বাহাদুর জায়গা পায় এটা বোধগম‍্য নয়।এতো বড় যুদ্ধ করে সফলতা কোথায়?
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার মনে হয় আওয়ামী লীগকে নতুন করে পূর্নবাসন করার একটা পায়তারা চলছে।তা  না হলে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি একজন অর্ধশিক্ষিত ব‍্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বভার দেয়?এ বিষয়ে কথা হলে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি, আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা   বাহাদুর রহমান বলেন, আমি প‍্যানেল চেয়ারম‍্যান ১ হিসাবে ছিলাম।নিয়ম মোতাবেক দায়িত্ব পেয়েছি।যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,  আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নাই। মেম্বার থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সুবিধার জন‍্য আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে চলতে হয়েছে।

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button