আপিল বিভাগের নির্দেশনা স্বত্বেও মাদারীপুর জেলা পরিষদের ৫নং রাজৈর ওয়ার্ডের নির্বাচনের উদ্যোগ নেই

মাদারীপুর প্রতিনিধি: সারা দেশের মত এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচন বিগত ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর তারিখে  মাদারীপুরের সবগুলো ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জেলার ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন আইনী জটিলতার কারণে বন্ধ থাকে।
তবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে আইনী জটিলতার বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেও ১ বছর ৩ মাসেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় যে, মাদারীপুর জেলা পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডটি জেলার রাজৈর উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর জেলা পরিষদের সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তারা হলেন-আলহাজ্ব নাজমুল হোসেন বাসু, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও মোঃ আনোয়ার হোসেন।
এই ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে মোঃ আনোয়ার হোসেন-এর সরকারি খাদ্য দপ্তরের আওতাধীন ডিলারশিপ চলমান থাকায় তার প্রার্থীতা বাতিল বলে ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরবর্তীতে মোঃ আনোয়ার হোসেন বিভাগীয় কমিশনার বরাবর নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন করেন। বিভাগীয় কমিশনারে শুনানীর পর তার আপিল খারিজ হয়ে যায়।  এরপর তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্ট বিভাগে বিগত *** তারিখে ১১৫০৭/২০২২নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। এই সময় মোঃ হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিগত *** তারিখে হাইকোর্ট বিভাগে উক্ত রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানী শেষে মোঃ আনোয়ার হোসেনের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু এই আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে অপর প্রার্থী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ওই প্রার্থিতা বৈধতার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন, যার নং ১৩০৯/২০২৩ইং। বিগত ১৬ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ চৌধুরী এবং আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও মাননীয় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন-এর যৌথ বেঞ্চ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আনোয়ার হোসেন-এর প্রার্থিতা বহাল সংক্রান্ত রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড রাজৈর উপজেলার সদস্য পদ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে জ্ঞাত করানোর পরও দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস অতিবাহিত হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেই। এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী

সম্পৃক্ত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button