সংগ্রাম দত্ত: নদীমাতৃক এ দেশে বিভিন্ন প্রকার জলধারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্যতম হলো হাওর। এর মধ্যে অন্যতম সাগরসদৃশ বিস্তৃত জলরাশির প্রান্তর শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর।
প্রচুর লতা ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ থাকার কারণে স্থানীয়দের কাছে এটি লতাপাতার হাওর নামেও পরিচিত।
হাওরের চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নীল আকাশ ও পানির মিতালী যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির বাস্তব রূপ। সেকারণে হাওড়ের বুকে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে সারাদেশের ভ্রমণকারীরা এই ভূস্বর্গে ছুটে আসেন। হাইল হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি জীববৈচিত্রেরও কোন ঘাটতি নেই। এই হাওরে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ লক্ষ করা যায়।
এই হাইল হাওর হলো এমন একটি জায়গা যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে মিলিয়ে মধুর ভাসা পড়ে। হাইল হাওর বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি।
হাইল হাওরের আকর্ষণীয়তা বিবেচনা করা যায় প্রথমেই এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। হাওরের পানিতে প্রতিবিম্ব হলো নীল আকাশ এবং পানির মিতালী, যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির বাস্তব রূপ। এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে মন খুলে দিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্যে মজা নিতে প্রেরিত করে।
হাইল হাওর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি প্রধান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য । এটি সিলেট অববাহিকায় বসবাসকারী এবং পরিযায়ী জলপাখিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। গ্রীষ্মকালে অন্যান্য সমস্ত উৎস শুকিয়ে গেলে আশেপাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ জলের উৎস। অভয়ারণ্যটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত।
অভয়ারণ্যটি মূলত দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব দিকের পাহাড় এবং উত্তরে মনু ও কুশিয়ারা নদীর সমভূমির মধ্যে অবস্থিত। পাহাড় চা বাগান এবং প্রাকৃতিক বন ব্লক দ্বারা আবৃত। জলাভূমির জল বর্ষাকালে প্রায় ১৪০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত হয় এবং গ্রীষ্মকালে ৩০০০ হেক্টর এ সঙ্কুচিত হয়। এটি ১৩১ টি বিল এবং সরু খালের মধ্যে সীমাবদ্ধ। জলাভূমির আশেপাশে ৬২টি গ্রামে প্রায় দুই লক্ষাদিক লোক বাস করে। বর্ষার পর পানি কমে যাওয়ার ফলে স্থানীয় লোকজন ধানের ক্ষেতে রূপান্তরিত জমিকে উন্মুক্ত করে দেয়। বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ‘কমিউনিটি হাজবেন্ডারির মাধ্যমে জলজ বাস্তুতন্ত্রের ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ।
এটি শ্রীমঙ্গল থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং মৌলভীবাজার থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ।
এই অঞ্চলে একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় মৌসুমী জলবায়ু রয়েছে যার গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৪০০০ মিমি (১৬০ ইঞ্চি), যার বেশিরভাগই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পড়ে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল এলাকায় প্রচুর শীত পড়ে থাকে।
বন বিভাগ জলপাখিদের শিকার ও চোরা শিকার থেকে রক্ষা করার জন্য একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত প্রধানত জলাভূমি অভিযোজনের সাথে যুক্ত।
অভয়ারণ্যে প্রচুর জাতের জলপাখি পাওয়া যায়, যেখানে শীতকালে ৪০০০০ থেকে ৫০০০০ জনসংখ্যা থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কম হুইসলিং হাঁস , ফুলভাস হুইসলিং হাঁস , কটন পিগমি গুজ , গারগনি , নর্দার্ন পিনটেল , নর্দার্ন শোভেলার , কমন টিল , কমন পোচার্ড , টুফটেড ডাক , গ্যাডওয়াল , স্পটবিল হাঁস , বার -হেডেড গ্রুড্লাগোস , ডুমবিল হাঁস টিল , ম্যালার্ড , রেড-ক্রেস্টেড পোচার্ড , কমন পোচার্ড , বেয়ারের পোচার্ড , গ্রেব , লিটল কর্মোরান্ট , ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন , ক্যাটেল এগ্রেট , লিটল এগ্রেট , ইন্টারমিডিয়েট এগ্রেট , গ্রেট এগ্রেট , ওয়াটার কক , মুরহেন , বেগুনি পচার্ড , কমন টেল জ্যাকানা , ব্রোঞ্জ-পাখাওয়ালা জাকানা , সাথে হেরন, কিংফিশার, এগ্রেটস এবং টার্নস। রাপ্টরদের মধ্যে রয়েছে অস্প্রে , ইউরেশিয়ান মার্শ হ্যারিয়ার এবং পাইড হ্যারিয়ার ।
বিপদগ্রস্ত পাখির মধ্যে রয়েছে বেয়ারের পোচার্ড, বৃহত্তর দাগযুক্ত ঈগল এবং প্যালাসের মাছের ঈগল ।
বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা অভয়ারণ্যটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাখি এলাকা (IBA) মনোনীত করা হয়েছে ।
এই অঞ্চলে অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে প্রধানত উভচর, সরীসৃপ এবং কচ্ছপ। মাছের মধ্যে রয়েছে কাতলা কাতলা , লাবেও রোহিতা , এল ক্যালবাসু , এল গনিয়াস , সিররিনা মৃগালা , বারবাস এসপিপি , ওয়ালাগো আট্টু , মাইস্টাস টেংরা , মাইস্টাস আওর এবং ওমপোকপাবদা , গাদুসিয়া চাপরা , ক্লুপিয়া এসপিপি , হেস্টেরসচুসট্রুস্টোস নোটোপেসিস নোটোপেসি , ক্লুপিয়া এসপিপি। Channa spp., Anabas testudineus এবং Colis afasciota . ম্যাক্রোব্রাকিয়াম গোত্রের স্বাদু পানির চিংড়ি সাধারণ।
এই হাইল হাওরের আয়তন ১৪ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পড়েছে ১০ হাজার হেক্টর। এর ভেতরে বিল রয়েছে ৫৯টি। যার মধ্যে ২০ একরের নিচে ৩৯টি এবং ২০টি ২০ একরের ওপরে। অবশিষ্ট ৪ হাজার হেক্টর জলাভূমি মৌলভীবাজার সদর উপজেলায়। যার মধ্যে বিল রয়েছে ৫৫টি। এরই মধ্যে ১০ থেকে ১২ টির কোনও অস্তিত্ব নেই।
এই হাইল হাওর এতদাঞ্চলের মাছের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। হাইল হাওরের অধিকাংশ সরকারি বিলই এখন ব্যক্তিগত মৎস্য খামারে পরিণত হয়েছে।
বিলগুলো হাওরের চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। অনেকের ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে খাস জমিও পড়েছে। ভূমি দখলদারদের জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিল সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে।
হাওরের বিলে প্রায় শত প্রজাতির দেশীয় মাছ পূর্বে পাওয়া যেত। বর্তমানে প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই হাওরে এসে মিশেছে অর্ধশতাধিক ছড়া যা গোফলা নদীতে এসে পড়েছে। অনেকে সেই ছড়াগুলোও দখল করে নিয়েছে, নিচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহ পরিবর্তন হচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়ছেন হাওরের বুরো চাষিরাও।
কথিত আছে একসময় ৩৫২ ছড়ার অস্তিত্ব ছিল এই হাইল হাওরে। কিন্তু ভূমি দখল করে মাছের খামারও ভরাটসহ বিভিন্ন কারণে সুপরিচিত এই হাইল হাওর এখন বিলীনের পথে। হাওরের ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩১ টি বিলের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ৩০টি বিলের কোনো হদিস নেই। এছাড়া ৩৫২ ছড়ার হাইল হাওরের দুই-তৃতীয়াংশ ছড়া (খালের মতো পানিপ্রবাহ) হারিয়ে গেছে।
সরকারি হিসাবে হাইল হাওরের আয়তন ১৪ হাজার হেক্টর। কিন্তু বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর কর্মীরা বলছেন, বর্তমানে এই হাওরের প্রকৃত আয়তন ৭ হাজার হেক্টরেরও কম।
২০১৪ সালে হাইল হাওরে বাণিজ্যিক মাছ চাষের জন্য তৈরি পুকুরের আয়তন ছিল ৮৬৩ হেক্টর। বর্তমানে তা’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩শ হেক্টরে।
স্থানীয়দের মতে, বাস্তবে বাণিজ্যিক মাছ চাষের পুকুরের মোট আয়তন ৩ হাজার হেক্টর হবে।
১৯৮০ সালের পর থেকে বাণিজ্যিক মাছের খামার গড়ে উঠতে থাকে হাইল হাওরে। ২০০০ সালের পর থেকে এর ব্যাপকতা বাড়ে। হাইল হাওরে বাণ্যিজিক মাছ চাষ শুরুর পর থেকে মৎস্য খামারিরা গড়ে তুলছেন বিশাল বিশাল পুকুর।
জানা গেছে, সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই একের পর এক মৎস্য প্রকল্প গড়ে তুলছেন এক শ্রেণীর সঙ্ঘবদ্ধ প্রভাবশালী মহল। খাসজমি দখল কিংবা ভূমিহীনদের নামে সরকারের বন্দোবস্ত দেওয়া জমি বিভিন্ন কৌশলে আয়ত্তে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালীরা গড়ে তুলছেন মৎস্য প্রকল্প। শস্য ও মৎস্য ভান্ডার খ্যাত হাইল হাওর।
প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও জীবন-জীবিকার বিবেচনায় স্থানীয়দের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই জলাভূমি কিছু সংখ্যক প্রভাব প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিবর্গ দখল করে গড়ে তুলেছেন মৎস্য খামার।
অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিত পুকুর খননে হাওর হারাচ্ছে তার অস্তিত্ব। ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র, জীববৈচিত্র্য পড়ছে হুমকির মুখে।
জানা গেছে, কিছুসংখ্যক প্রভাবশালী মহল ভূমিহীনদের নামে লিজ নিয়ে জমিগুলো অল্প দামে কিনে বাকি ৯০ ভাগ সরকারি খাস জমিই ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলেছেন বাণিজ্যিক মাছের খামার । সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অতীতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। অবৈধভাবে হাওরের জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক ফিশারি করার কারণে দিন দিন হাওর সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ।
এলাকার কৃষকরা গবাদি পশুর খাবার হিসেবে সংগ্রহ করতেন। কিন্তু এসব এখন আর তেমন একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এই চিত্র শুধু চইড়া বিলে নয়, হাওরের অধিকাংশ বিলই এখন বাণিজ্যিক মৎস ফিশারিতে পরিণত হয়েছে। এই খাস জমির বেশ কিছু অংশ সরকার ভূমিহীনদের নাম দিয়েছেন। কিন্তু ভূমিহীনরা সেখানে যেতেই পারে না। বরং প্রভাব প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিবর্গ সামান্য টাকায় ভূমিহীনের খাসজমি লীজের সেই কাগজ সংগ্রহ করে ও কৌশলে তাদের কাছ থেকে জমিগুলো নিয়ে নেয়। পরে খাস জমিগুলোও তারা কৌশলে তাদের আয়ত্তে নিয়ে বাণিজ্যিক ফিশারি গড়ে তুলে ।
এই হাওরের হাজার হাজার একর ভূমি দখল করে ফিশারি করেছেন প্রভাবশালী একটি চক্র। ধনাঢ্য প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্টপোষকতায় দিনের পর দিন হাইল -হাওর গিলে গিলে খাচ্ছে।’ফলে হুমকির মুখে পড়ছে হাইল-হাওর, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ ।
বিদ্যমান জলাভূমি পলির হুমকির মুখে রয়েছে , কৃষি ও শিল্পের জন্য নিষ্কাশন হচ্ছে। জলাশয়গুলিকে কৃত্রিম বাঁধ ও রাস্তা দ্বারা ছোট মাছ ধরার ব্লকে রূপান্তরিত করা হয়। এর ফলে জলপাখির পাশাপাশি মাছের সংখ্যাও কমে গেছে ।
বৃক্ষ বৈচিত্র্য এবং জনসংখ্যার ক্ষতি হচ্ছে চাষাবাদ, আগাছা প্রজাতির আক্রমণ, গবাদি পশুর চারণ, ক্ষুদ্র বনজ পণ্য এবং জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ, আগুনের ঝুঁকি, রাস্তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের কারণে।
জলাভূমির ধারে বসবাসকারী বিশাল জনগোষ্ঠী। তারা বেশিরভাগই অভিবাসী এবং জীবিকার জন্য মাছ ধরা ও চাষাবাদের সাথে জড়িত।
শোনা যায়, একসময় হাইল হাওর ছিল প্রচুর গভীর ফলে একসময় এই হাইল-হাওর অঞ্চল দিয়ে প্রচুর জাহাজের চলাচল ছিল । শ্রীমঙ্গল উপজেলার শহরতলির উত্তর ভাড়াউড়ায় এলাকার হাওর অভিমুখে জেটি ছিল। সখনো এই স্থানটি জেটি রোড নামে সকলের কাছে পরিচিত ।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, জনস্বার্থে হাওর ও উন্মুক্ত জলাশয়কে রক্ষা করতে হবে। জলাভূমি দখল করে ফিসারি তৈরি করা সঙ্ঘবদ্ধ প্রভাবশালীদের কঠোভাবে দমন করতে হবে। একইসঙ্গে হাইল হাওরে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা শতভাগ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সামনে বড় রকমের বিপর্যয় ঘটবে।।
পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এখনই হাইল হাওরের বিলগুলো খনন করা প্রয়োজন। প্রত্যেকটি পাহাড়ি ছড়ার নিচের অংশ খনন করে গোফলা পর্যন্ত পানি চলাচলের পথ পরিষ্কার করে হাই হাউ আর কে দেশ জাতি ও পরিবেশের জন্য রক্ষা করা উচিত।
ইতোপূর্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় হাইল হাওর দখলের বিষয়ে খবর বেরিয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হাইল হাওর পরিদর্শনক্রমে এসে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে হাওড়াঞ্চলের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে জীবন জীবিকা, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য হাইল হাওর এ যাবৎ দখল মুক্ত হয়নি