ইমরান হাসান বলেন, আমরা এই ঘটনা থেকে দূরে সরে যেতে চাই না। আর এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেজন্য এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাব, বাংলাদেশের সব রেস্তোরাঁ মনিটরিং করা আমাদের রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেজন্য আমরা বিভিন্ন দপ্তরে ১ হাজারের বেশি চিঠি দিয়েছি কিন্তু আসলে কোনো সুরাহা আমরা পাইনি। আমাদের কেউ সহযোগিতা করেনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগে ফুড সেফটি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন কিন্তু সেই কার্যক্রম এতটাই ক্ষীণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা চাই একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হোক। আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে যত রেস্তোরাঁ আছে তাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, তাদের সব সেফটি যেন ইনসিওর করা হয়। যারা আমাদের নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে চলতে পারবে না, তারা তাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবে। তাদের ব্যবসা করার দরকার নাই।
ইমরান হাসান বলেন, তবে এক্ষেত্রে কোনো রেস্তোরাঁ মালিকের ওপর যেন কোনো জুলুম করা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা জানেন—কোনো ঘটনা ঘটার পর সবাই হইচই শুরু করে। কারণ এই সেক্টরে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। এখানে ৩০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। রেস্তোরাঁ খাতে ২০ শতাংশ ভোক্তা রয়েছে। এতে জড়িত রয়েছেন যেমন ব্যবসায়ীরা, তেমনি জড়িত রয়েছেন কৃষক। এটি একটি শিল্প, এই শিল্পের সুরক্ষা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা চাই।